জামাই ষষ্ঠীর ইতিহাস - জামাই ষষ্ঠীর নিয়ম

হিন্দু ধর্ম সম্প্রদায়ের অনুগামীদের জামাই ষষ্ঠীর ইতিহাস মূলত অনেক প্রচীন প্রথা তবে আমরা জামাই ষষ্ঠীর নিয়ম সম্পর্কে ততোধিক জানি না। তাই আজ আমরা জানবো কোন সময়ে এবং সঠিক পন্থা অবলম্বনে জামাই ষষ্ঠীর নিয়ম সম্পর্কে। সুতরাং কথা আর বাড়িয়ে চলুন আমরা হিন্দু ধর্মের মতে জামাই ষষ্ঠীর নিয়ম সঠিকটা জানবো সাথেই থাকুন।

জামাই ষষ্ঠীর নিয়ম
এই লোকাচার পালিত হয়ে আসছে যদিও প্রচীন কালে থেকে এখন বর্তমানে এই প্রথার আংশিক পরিবর্তন ঘটেছে। জামাই কন্যাকে এনে নানা রকম বস্তু, নানান সামগ্রিক উপহার দেওয়া হয় তার পরে নানা রকম নিরামিষ আমিষ খাবার প্ররিবেশন করা হয়।জামাই ষষ্ঠী মূলত ষষ্ঠ মাসের প্রথম শুক্লপক্ষোর তীথিতেই পালিত হয়।

পোস্টের সূচিপত্র ঃ জামাই ষষ্ঠীর নিয়ম - জামাই ষষ্ঠীর ইতিহাস

জামাই ষষ্ঠীর নিয়ম

জামাই ষষ্ঠী হিন্দু ধর্মের একটি প্রচীন রীতি। প্রচীল কাল থেকে এই প্রথা পালিত হচ্ছে। হিন্দু ধর্ম অনুসারে যখন কন্যার বিবাহ হলে সেই থেকে সে তার নিজের বাবার বাড়িতে না থেকে তার স্বামীর বাড়িতে গিয়ে থাকতে হয়। 

বিবাহের প্রথম ষষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষ তীথিকে বেঁচে নেওয়া হয় জামাই ষষ্ঠীর জন্য। ষষ্ঠী হচ্ছে হিন্দু ধর্মের উর্বরতার দেবী যা লৌকিক ভাবে পূজা করা হয়ে থাকে। জামাই ষষ্ঠীর দিন আমরা আমাদের দাম্পত্য জীবনে সন্তান লাভের বাসনা প্রকাশ করে থাকি সাথে আমাদের জীবনও যেন সব কিছু নিয়েই ভরে উঠে।

জামাই ষষ্ঠী মানেই আমাদের লৌকিক দেবী ষষ্ঠী মাতাকে প্রসন্ন করার জন্য করা হয়ে থাকে তিনি সন্তুষ্ট হলেই আমাদের সন্তান প্রদান করবে।জামাই ষষ্ঠী মানেই হচ্ছে নতুন জামাইকে আপয়্যণ করার একটি মাধ্যম মাত্র। 

সেই থেকে আজ পর্যন্ত জামাই ষষ্ঠীর এই লোকাচার পালিত হয়ে আসছে যদিও প্রচীন কালে থেকে এখন বর্তমানে এই প্রথার আংশিক পরিবর্তন ঘটেছে। 

আরো পড়ুন ঃ নাম দিয়ে রাশি জানার উপায় - জন্ম তারিখ দিয়ে রাশি জানার উপায়

জামাই কন্যাকে এনে নানা রকম বস্তু, নানান সামগ্রিক উপহার দেওয়া হয় তার পরে নানা রকম নিরামিষ আমিষ খাবার প্ররিবেশন করা হয়।জামাই ষষ্ঠী মূলত ষষ্ঠ মাসের প্রথম শুক্লপক্ষোর তীথিতেই পালিত হয়। 

জামাই ষষ্ঠীর ইতিহাস 

হিন্দু ধর্ম সম্প্রদায়ের অনুগামীদের জামাই ষষ্ঠীর ইতিহাস মূলত অনেক প্রচীন প্রথা বা অনেক পুরনো একটি রীতি ছিল। হিন্দু ধর্মের যখন একটি কন্যার বিবাহ সম্পন্ন হতো সেই থেকে কন্যা তার নিজ গৃহ ত্যাগ করে স্বামী শশুরবাড়িতে থাকতে হয়।

স্বামীর বাড়িতে থাকা আবস্থায় কন্যাটি যতদিন সন্তান না লাভ করছে ততোদিন পর্যন্ত কন্যার বাড়ির ব্যাক্তি বর্গগণ তার মেয়ের শশুরবাড়িতে আসতে পারতো না তারা সন্তান তথা নাতিনাতনি না হওয়া পর্যন্ত কন্যার পিতারা কন্যার শশুর বাড়ির খাবর গ্রহণযোগ্যতা পেতো না।সেই থেকে এই প্রথার আর্বিভাব ঘটে। 

বিবাহ দেবার পর প্রথম ষষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষে এই জামাই ষষ্ঠী নামক অনুষ্ঠান সূচনা ঘটে। ষষ্ঠী হচ্ছে হিন্দু ধর্মের লৌকিক দেনী। এই ষষ্ঠী মাতার পূজার মাধ্যমে ষষ্ঠী মাতা আমাদের সন্তান প্রদানের আর্শিবাদ প্রাপ্ত করি। সেই ষষ্ঠী মাতার নামেই জামাই ষষ্ঠী নামকরণ করা হয়। 

জামাই ষষ্ঠী মানেই হচ্ছে নতুন জামাইকে আপয়্যণ করার একটি মাধ্যম মাত্র। সেই থেকে আজ পর্যন্ত জামাই ষষ্ঠীর এই লোকাচার পালিত হয়ে আসছে যদিও প্রচীন কালে থেকে এখন বর্তমানে এই প্রথার আংশিক পরিবর্তন ঘটেছে। 

জামাই ষষ্ঠী খাবার

জামাই ষষ্ঠী পালনে কন্যার বাড়িতে বিশাল আয়োজন করা হয়ে থাকে সেখানে থাকে নানা রকম নিরামিষ আমিষ উভয় খাবার যাকে এক কথায় ভূরিভোজন বলা হয়ে থাকে। এই অনুষ্ঠান শুরুর পূর্বের জামাই এবং কন্যাকে সবিনয়ে নিমন্ত্রণের মাধ্যমে আনা হয় এতে করে দুটি পরিবারের মাঝে সম্পর্ক আরো গভীর হয়।

জামাই কন্যাকে এনে নানা রকম বস্তু, নানান সামগ্রিক উপহার দেওয়া হয় তার পরে নানা রকম নিরামিষ আমিষ খাবার প্ররিবেশন করা হয়।নিরামিষ খবার বলতে ষষ্ঠ মাসের নতুন নতুন ফলমূলাদি যেমন আম,কাঁঠাল, লিচু, জাম, আরোও বিশেষ ফলমূল সাথে নানা রকম মিষ্টিন্ন রসমালাই, দধি,পায়েস নানা রকম পিঠাপুলি থাকে পরিবেশনে।

অপর দিকে আমিষ খাবরের বলতে থাকে কিছু বিশেষ মেনু কচি পাঠার মাংস, খাসি, মুরগ প্রভৃতি বৃহৎ পরিষরে আমিষ যুক্ত খাবার। এজন্য জামাই ষষ্ঠীর আর এক নাম ভূরিভোজনও বলা হয়ে থাকে।এই অনুষ্ঠান শুরুর পূর্বের জামাই এবং কন্যাকে সবিনয়ে নিমন্ত্রণের মাধ্যমে আনা হয় এতে করে দুটি পরিবারের মাঝে সম্পর্ক আরো গভীর হয়।

আরো পড়ুন ঃ একাদশীতে কি কি মসলা খাওয়া যায় - একাদশীতে কি কি বর্জনীয়

জামাই কন্যাকে এনে নানা রকম বস্তু, নানান সামগ্রিক উপহার দেওয়া হয় তার পরে নানা রকম নিরামিষ আমিষ খাবার প্ররিবেশন করা হয়।জামাই ষষ্ঠী মূলত ষষ্ঠ মাসের প্রথম শুক্লপক্ষোর তীথিতেই পালিত হয়। 

জামাই ষষ্ঠী পূজা

জামাই ষষ্ঠী হিন্দু ধর্মের একটি প্রচীন রীতি। প্রচীল কাল থেকে এই প্রথা পালিত হচ্ছে। হিন্দু ধর্ম অনুসারে যখন কন্যার বিবাহ হলে সেই থেকে সে তার নিজের বাবার বাড়িতে না থেকে তার স্বামীর বাড়িতে গিয়ে থাকতে হয়। বিবাহের প্রথম ষষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষ তীথিকে বেঁচে নেওয়া হয় জামাই ষষ্ঠীর জন্য। 

ষষ্ঠী হচ্ছে হিন্দু ধর্মের উর্বরতার দেবী যা লৌকিক ভাবে পূজা করা হয়ে থাকে। জামাই ষষ্ঠীর দিন আমরা আমাদের দাম্পত্য জীবনে সন্তান লাভের বাসনা প্রকাশ করে থাকি সাথে আমাদের জীবনও যেন সব কিছু নিয়েই ভরে উঠে।জামাই ষষ্ঠী মানেই আমাদের লৌকিক দেবী ষষ্ঠী মাতাকে প্রসন্ন করার জন্য করা হয়ে থাকে তিনি সন্তুষ্ট হলেই আমাদের সন্তান প্রদান করবে। 

জামাই ষষ্ঠী পালনে কন্যার বাড়িতে বিশাল আয়োজন করা হয়ে থাকে সেখানে থাকে নানা রকম নিরামিষ আমিষ উভয় খাবার যাকে এক কথায় ভূরিভোজন বলা হয়ে থাকে। এই অনুষ্ঠান শুরুর পূর্বের জামাই এবং কন্যাকে সবিনয়ে নিমন্ত্রণের মাধ্যমে আনা হয় এতে করে দুটি পরিবারের মাঝে সম্পর্ক আরো গভীর হয়।

উপসংহার

জামাই কন্যাকে এনে নানা রকম বস্তু, নানান সামগ্রিক উপহার দেওয়া হয় তার পরে নানা রকম নিরামিষ আমিষ খাবার প্ররিবেশন করা হয়।জামাই ষষ্ঠী মূলত ষষ্ঠ মাসের প্রথম শুক্লপক্ষোর তীথিতেই পালিত হয়। জামাই ষষ্ঠী মানেই হচ্ছে নতুন জামাইকে আপয়্যণ করার একটি মাধ্যম মাত্র।সেই থেকে আজ পর্যন্ত জামাই ষষ্ঠীর এই লোকাচার পালিত হয়ে আসছে যদিও প্রচীন কালে থেকে এখন বর্তমানে এই প্রথার আংশিক পরিবর্তন ঘটেছে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
AB AKASH
AB AKASH
AB AKASH is a skilled Digital Marketing and Content Writing Expert specializing in driving organic growth through Blog SEO and strategic content creation. With a proven ability to translate complex ideas into compelling, high-ranking web content, AB AKASH helps businesses significantly boost their online visibility and engagement. Currently completing his Honours 4th Year in the Department of English at Rajshahi New Government Degree College.thank you.