ক্রেডিট কার্ডের জন্য যোগ্যতার শর্ত - ইসলামী ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা
  বর্তমানে কিন্তু ক্যাশ টাকার থেকে ক্রেডিট কার্ড ডেবিট কার্ড এর চলন বেশি। তবে
  এই ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার জন্য বিশেষ যোগ্যতার প্রয়োজন হয়। যে কেউ চাইলে কিন্তু
  এ ক্রেডিট কার্ড সার্ভিস নিতে পারে না। ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার জন্য কি কি যোগ্যতা
  থাকতে হবে এবং তাদের কি শর্ত মানতে হবে! এবং ক্রেডিট কার্ডের জন্য যোগ্যতার শর্ত এই সকল বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে আপনাদের
  সাথে আলোচনা করব।
  অনেকে কিন্তু ব্যাংকের সাথে লেনদেন করলে ও এই ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার ব্যাপার টি
  নিয়ে অনেক ভাবনা চিন্তা করে থাকেন। তারা আজ কে আমার এই আর্টিকেল টি থেকে জানতে
  পারবেন ক্রেডিট কার্ডের জন্য যোগ্যতার শর্ত ডাচ বাংলা ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ব্রাক ব্যাংক ইত্যাদি
  ব্যাংক এর ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা কি এবং কি কি যোগ্যতা থাকলে ওই ব্যাংক
  গুলোর ক্রেডিট কার্ড নিতে পারবে। চলুন দেরি না করে আজকের আলোচনার মূল বিষয় বস্তু
  শুরু করা যাক।
পোষ্টের সূচিপত্রঃক্রেডিট কার্ডের জন্য যোগ্যতার শর্ত
ক্রেডিট কার্ডের জন্য যোগ্যতার শর্ত
  ব্যাংকিং সেবা গুলো সম্পর্কে আমরা আগে ই অনেক কিছু জেনেছি। তবে ক্রেডিট কার্ড এর
  ব্যাপার টা সম্পর্কে হয় তো অনেক এর ই অনেক কিছু অজানা রয়েছে। ক্রেডিট কার্ড এমন
  একটি জিনিস যে টি ব্যাংক থেকে সুবিধা মত লেনদেন করার জন্য দিয়ে থাকে। তবে এই
  ক্রেডিট কার্ড কিন্তু সবাই নিতে পারে না। এর জন্য কিছু যোগ্যতা প্রয়োজন আছে। এ
  ছাড়া ও কিন্তু বেশ কিছু শর্ত এখানে রয়েছে। যে গুলো ছাড়া কিন্তু ক্রেডিট কার্ড
  সার্ভিস টি সবাই ব্যবহার করতে পারবেন না। এই ক্রেডিট কার্ড সার্ভিস নেওয়ার জন্য
  আপনা কে অনেক বেশি বড় লোক এবং স্বাবলম্বী হতে হবে। 
  ক্রেডিট কার্ডের জন্য যোগ্যতার শর্ত কেন বলছি? একটু পরে বুঝতে পারবেন। এখানে ক্রেডিট কার্ড সার্ভিস নেওয়ার জন্য আপনা
  কে আর্থিক ভাবে সচ্ছল হতে হবে। আর আপনি যদি ব্যাংক এর কাছে এমন কোন প্রমাণ দেখা
  তে পারেন যে টি থেকে তারা মনে করতে পারে যে আপনি আর্থিক ভাবে স্বচ্ছ বা আপনার
  অনেক অনেক খানি অর্থ রয়েছে । ক্রেডিট কার্ড কিন্তু মূলত ঋণ নেওয়ার জন্য দেওয়া
  হয় এবং এই ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার পর নির্দিষ্ট সময় এর মধ্যে এই ঋণ টি পরিশোধ
  করতে হয়। 
  প্রত্যেক মাসে একটি করে নির্দিষ্ট সময় দেওয়া থাকে। ক্রেডিট কার্ডের জন্য যোগ্যতার শর্ত এই সময় এর ভিতরে যদি আপনি
  ঋণ এর টাকা দিতে না পারেন তাহলে কিন্তু সুদ এর পরিমাণ অনেক বেশি বেড়ে যাবে এবং
  এই সুদ যদি আপনি না দিতে পারেন তাহলে কিন্তু আপনি যে ঋণ টি নিয়েছেন সেটির পরিমাণ
  ধীরে ধীরে বাড়তে থাকবে। এ টি এক সময় অনেক বেশি হয়ে যাবে যে টি আপনার পক্ষে
  দেওয়া সম্ভব না ও হতে পারে। এই জন্য ই তো ব্যাংক থেকে ক্রেডিট সার্ভিস টি সবার
  জন্য এলাও করে না। শুধু মাত্র যারা এই সার্ভিস টি নেওয়ার জন্য স্বাবলম্বী তাদের
  কে ই ক্রেডিট কার্ড সার্ভিস টি দেওয়া হয়ে থাকে। 
  এর জন্য ব্যাংক সব সময় ঋণ শোধ করার মতো সামর্থ্য আছে কি না দেখে তার পর ক্রেডিট
  কার্ড এর জন্য পারমিশন দিয়ে থাকে। তবে অনেক সময় আবার কোন পেশায় আছে এবং কোন
  পেশা থেকে এই ক্রেডিট কার্ড সার্ভিস টা নিতে চাচ্ছে সে টি ও কিন্তু তারা বিবেচনা
  করে দেখে। তার পর তাকে ক্রেডিট কার্ড সার্ভিস নেওয়ার জন্য পারমিশন দিয়ে থাকে।
  যেমন এখানে যারা ক্রেডিট কার্ড সার্ভিস নিতে পারবে তাদের মধ্যে রয়েছে চাকরি
  জীবী, ব্যবসায়ী বা অন্যান্য পেশাদার ব্যক্তি রা ও কিন্তু ক্রেডিট কার্ড সার্ভিস
  এর জন্য এপ্লাই করতে পারে। ক্রেডিট কার্ডের জন্য যোগ্যতার শর্ত হলোঃ
- চাকরি জীবী দের ক্ষেত্রে যদি ক্রেডিট কার্ড সার্ভিস নিতে চাই। তাহলে তাদের ব্যাংক এর লেন দেন থাকতে হবে ১১ থেকে ১৩ লাখ টাকার উপরে এবং অ্যাকাউন্ট এর বয়স হতে হবে ছয় থেকে সাত মাস এর বেশি।
 - যারা ব্যবসা করে তারা ক্রেডিট কার্ড সার্ভিস নিতে চাইলে তাদের জন্য ব্যাংকে লেন দেন হতে হবে ১১ থেকে ১২ লাখ টাকার মতো এবং এক বছর এর বেশি একাউন্ট এর বয়স হতে হবে।
 - অন্য পেশায় যারা রয়েছেন তাদের ক্রেডিট কার্ড সার্ভিস নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এন আইডি কার্ড, দুই কপি ছবি, বিদ্যুৎ বিল এর এক টি কপি ও এক জন রেফারেন্সার। এ ছাড়া ও আপনি বর্তমানে যে পেশা থেকে এই ক্রেডিট কার্ড টি নিতে চাচ্ছেন সেই পেশার যে কোন এক টি প্রমাণ এখানে ব্যাংক এর কাছে দেখাতে হবে।
 
ডাচ বাংলা ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা
  বর্তমানে ব্যাংকিং সেবা গুলো অনেক বেশি উন্নত হয়েছে এবং এ গুলো ক্রেডিট কার্ড এর
  মত সুবিধা প্রদান করছে। ক্রেডিট কার্ড নিয়ে নিলে কিন্তু অনেক ধরন এর সুবিধা
  পাবেন। যেমন: বাইর এর দেশে গিয়ে আপনি কেনা কাটা করতে পারবেন বা আমাদের দেশে ও
  কিন্তু এমন অনেক জায়গা আছে সে গুলো তে ক্রেডিট কার্ড allow করে থাকে। ক্রেডিট
  কার্ড মূলত ঋণ পরিশোধ এর জন্য ই কিন্তু দেওয়া হয় এবং এই ঋণ পরিশোধ করার জন্য
  আপনা কে অবশ্য ই একটি আয়ের উৎস থাকতে হবে। সেখানে আপনি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার
  করে ইচ্ছা মতো শপিং করতে পারবেন। 
  এখানে ব্যাংকে কোন লিমিটেশন নাই। তবে এই ডাচ বাংলা ব্যাংক এর ক্রেডিট কার্ড
  পাওয়ার যোগ্যতা কিন্তু সবার নাই। শুধু মাত্র যারা কোন প্রফেশনে আছেন বা চাকরি
  করছেন তারা ই শুধু মাত্র এই কার্ড টি নিতে পারবেন। এক কথায় বলা যায় ব্যাংক শুধু
  মাত্র এটা দেখতে চাইছে তার কোনো আয় এর উৎস আছে কিনা? যদি তার আইয়ের উৎস থাকে
  তাহলে কিন্তু ডাচ বাংলা ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড সার্ভিস টি দিবে। আর যদি ব্যাংক এর
  মনে হয় যে আপনার কোন আয় এর উৎস নেই আপনি এখান থেকে কার্ড টি নিলে ঋণ পরিশোধ
  করতে পারবেন না তাহলে কিন্তু আপনা কে এই ক্রেডিট কার্ড সার্ভিস নেওয়ার জন্য
  পারমিশন দেওয়া হবে না। 
  তবে এই ডাচ বাংলা ব্যাংক কিন্তু স্টুডেন্ট দের জন্য অনেক বেশি সুবিধা প্রদান করে
  থাকে। তাই আপনি যদি এক জন স্টুডেন্ট হওয়া সত্ত্বে এই ডাচ বাংলা থেকে ক্রেডিট
  কার্ড সার্ভিস টি নিতে চান। তাহলে কিন্তু ব্যাংকে কিছু বড় ধরন এর অ্যামাউন্ট জমা
  করে আপনি এখান থেকে ব্যাংক এর ক্রেডিট কার্ড সার্ভিস টি নিতে পারেন। ব্যাংক এ যখন
  আপনি এক টি বড় ধরন এর অ্যামাউন্ট জমা করবেন। তখন ব্যাংক বুঝতে পারবে যে আপনার
  আসলে ই আয়ের উৎস আছে বা আপনার ফ্যামিলি থেকে কিন্তু আর্থিক সাপোর্ট দেওয়ার জন্য
  রয়েছে। আপনি এখানে ঋণ নিলে ও এই ঋণ টি পরিশোধ করার জন্য আপনি পারফেক্ট আছেন।
  তাহলে কিন্তু আপনা কে ক্রেডিট কার্ড দিতে পারে। 
  তবে ডাচ বাংলা ব্যাংকে ক্রেডিট কার্ড সার্ভিস নেওয়ার জন্য আপনার যোগ্যতার পাশা
  পাশি যে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট গুলো লাগবে তার ভিতর এ রয়েছে টিন সার্টিফিকেট, পাস
  পোর্ট, এন আইডি কার্ড, ছবি, বিদ্যুৎ বিল এর কপি, ভিজিটিং কার্ড, ছয় মাস এর
  ব্যাংক এর লেন দেন ইত্যাদি। যদি চাকরি জীবী হয়ে থাকেন তাহলে বর্তমান প্রফেশন এর
  যে কোনো একটি প্রমাণ দিতে হবে। তাহলে আপনি ডাচ বাংলা ব্যাংক এর ক্রেডিট কার্ড
  সার্ভিস টি নিতে পারবেন।
ইসলামী ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা
  বাংলাদেশে ক্রেডিট কার্ড দিয়ে থাকে এমন যে কয় টি ব্যাংক রয়েছে! তাদের সবার ধরন
  কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন। ইসলামী ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা এক একটি ব্যাংক একেক নিয়মে তাদের কে ক্রেডিট কার্ড সার্ভিস
  এর জন্য বরাদ্দ করে রাখছে। ইসলামী ব্যাংক কিন্তু বাংলাদেশ এর সব চেয়ে জনপ্রিয়
  এবং অনেক পরিচিত এক টি ব্যাংক। এই ব্যাংকে আগে কার দিনে সকলে ই কিন্তু সব লেনদেন
  এখানে ই করত। ইসলামী ব্যাংক আগে থেকে ই যে রকম জন প্রিয় ছিল বর্তমানে এখন
  পর্যন্ত তার থেকে অনেক বেশি জন প্রিয় হয়েছে।
  আর ভবিষ্য তে ও আশা করি এর থেকে আর ও বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। কারণ ইসলামী
  ব্যাংক ভালো সার্ভিস দিয়ে থাকে। জনগণ যেখানে ভালো সার্ভিস পাই সেখানে ই তো যাবে
  এটা ই স্বাভাবিক। তবে ইসলামী ব্যাংকে ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা ও কিন্তু
  সবার থাকে না। শুধু মাত্র ইসলামী ব্যাংক এর যে শর্ত গুলো রয়েছে সে গুলো প্রযোজ্য
  ব্যক্তি রা এই ইসলামী ব্যাংক এর ক্রেডিট কার্ড সার্ভিস টি পেয়ে থাকে। ইসলামী ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা গুলো হলোঃ
- যেমন ইসলামী ব্যাংকে ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার জন্য যে যোগ্যতা গুলো লাগবে তার ভিতরে রয়েছে চাকরি জীবী দের জন্য ব্যাংক একাউন্ট এর বয়স হতে হবে এক বছর এবং আয় থাকতে হবে ২৫ থেকে ৩০ হাজার এর মধ্যে।
 - এবং অ্যাকাউন্ট হোল্ডার এর বয়স হতে হবে ২০ থেকে শুরু করে তার উর্ধ্বে। ব্যবসায়ী দের ক্ষেত্রে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এর বয়স হতে হবে দুই বছর এর বেশি এবং আয় থাকতে হবে ৫০ থেকে ৬০ হাজার এর মধ্যে।
 - তাদের বয়স হতে হবে ২০ থেকে শুরু করে যত উপরে যায়। এ ছাড়া প্রয়োজনীয় আরো অন্যান্য ডকুমেন্টস লাগতে পারে।
 - তার সাথে আপনাদের একটি সিবিল স্কোর ও লাগতে পারে।
 - ইসলামী ব্যাংকে ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার জন্য আপনার এই উপরোক্ত জিনিস গুলো থাকতে হবে। সাথে আপনা কে আর্থিক দিক থেকে ও স্বাবলম্বী হতে হবে।
 
সিটি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা
  সিটি ব্যাংকে লেন দেন করার জন্য মানুষ কিন্তু আগে গন্তব্য স্থান পর্যন্ত যেয়ে তার
  পর লেন দেন করে থাক তো। কিন্তু বর্তমানে ক্রেডিট কার্ড সার্ভিস এসে মানুষ এর কাজ
  কে আরো সহজ করে দিয়েছে। যেমন মানুষ এখন ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে কিন্তু
  বিভিন্ন ধরনের কাজ সম্পন্ন করতে পারছে। তারা শপিং থেকে শুরু করে বিভিন্ন
  প্রয়োজনে এখান টাকা উত্তোলন করতে পারছে। যখন যেখানে খুশি সেখান থেকে সিটি ব্যাংক
  এর বুথে গিয়ে টাকা উঠাতে পারছে। সাধারণ জন গণ এর জন্য ক্রেডিট কার্ড সার্ভিস অনেক
  ভালো সুযোগ সুবিধা দিয়ে করে দিয়েছে। 
  তবে এই সিটি ব্যাংক এর ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা কিন্তু সকলের থাকে না।
  এখানে শুধু মাত্র তারায় এই ক্রেডিট কার্ড নিতে পারবে। যাদের যোগ্যতা রয়েছে এবং
  ব্যাংক মনে করবে যে এই গ্রাহক টি ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্য,তাকে ই এই ক্রেডিট
  কার্ড প্রদান করা হবে। তবে সিটি ব্যাংক এর ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার জন্য বিশেষ যে
  ডকুমেন্টস গুলো আপনার থাকতে হবে বা যে যোগ্যতা গুলো আপনার থাকতে হবে সে গুলো হলোঃ
- আপনা কে আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হতে হবে এবং চাকরি জীবী দের জন্য সিটি ব্যাংক একাউন্ট থাকতে হবে।
 - এর লেন দেন এর বয়স হতে হবে তিন মাস,
 - সাথে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এন আইডি কার্ড,
 - সিভিল স্কোর,
 - আয়ের একটি উৎস,
 - স্যালারি সার্টিফিকেট,
 - আই টি আর ইত্যাদি।
 
  এ ছাড়া ও অ্যাকাউন্ট হোল্ডার এর বয়স হতে হবে ১৯ থেকে ৭০-৭৫ বয়স এর মধ্যে। এ
  ছাড়া ও ব্যাংক দেখবে যে তার স্থায়ী কোন আয় এর উৎস আছে কিনা। সে এই ক্রেডিট
  কার্ড এর ঋণ টি পরিশোধ করতে পারবে কি না। এই সকল কিছু দেখার পর যখন তাদের মনে হবে
  যেখান থেকে তাকে ক্রেডিট কার্ড দেওয়া যায় তখন তারা ক্রেডিট কার্ড এর জন্য
  পারমিশন দিবে।
ব্র্যাক ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা
  ব্র্যাক ব্যাংক কিন্তু অনেক আগে থেকে ই জন প্রিয় এবং প্রত্যেক টি মানুষ এর
  ব্র্যাক ব্যাংক এর প্রতি অন্য রকম একটা ভরসা রয়েছে । তবে আগে কার দিন এর পুরাতন
  গ্রাহকরা ই আমার মনে হয় ব্র্যাক ব্যাংকে বেশি লেন দেন করে থাকে। এখন বর্তমানে ও
  কিন্তু ব্রাক ব্যাংক এর জন প্রিয়তা আর ও বেশি পরিমাণে বেড়ে গিয়েছে। আর ব্র্যাক
  ব্যাংক এর ক্রেডিট কার্ড সুবিধা তো রয়েছে ই। আগে কার দিনে মানুষ যেমন সরা সরি
  ব্যাংক এর মাধ্যমে লেন দেন করতো,এখন কিন্তু তার থেকে ও অনেক বেশি উন্নত হয়েছে।
  যেমন মানুষ ক্রেডিট কার্ড এর মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় শপিং মার্কেটিং বা
  অন্যান্য কাজ এর জন্য যেখানে বুথ রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংকে সেখান থেকে কিন্তু টাকা
  উত্তোলন করে নিজেদের সুবিধা মতো কাজ করতে পারছে। 
  তবে এই ব্রাক ব্যাংক থেকে ক্রেডিট কার্ড সুবিধা কিন্তু সব গ্রাহক পাই না। ব্র্যাক
  ব্যাংক এর এই ক্রেডিট কার্ড সার্ভিস টি কে পাওয়ার জন্য কিন্তু বিশেষ কিছু
  যোগ্যতার প্রয়োজন পড়ে। যেমনঃ চাকরি জীবী দের জন্য বয়স হতে হবে নূন্য তম ১৯
  থেকে ২০ বছর। এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এর ভিতর রয়েছে nid card এবং ছবি। সিটি
  ব্যাংক অ্যাকাউন্ট টির বয়স হতে হবে ছয় মাস এবং এখানে যিনি অ্যাকাউন্ট হোল্ডার
  তার প্রত্যেক মাসের ইনকাম হতে হবে 26000 হাজার এর মতো। 
  আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশ ব্যাংক সঞ্চয়পত্রের নতুন নিয়ম 
  আর ব্যবসায়িকদের ক্ষেত্রে কিন্তু এন আইডি কার্ড, ছবি, ট্রেড লাইসেন্স।
  অ্যাকাউন্ট হোল্ডার এর বয়স হতে হবে ১৯ থেকে ২০ বছর এর মধ্যে আর একাউন্ট এর বয়স
  হতে হবে ছয় মাস এর মধ্যে এবং ইনকাম থাকতে হবে ৪০ থেকে ৫০ হাজার এর মতো। এখানে যে
  যত বেশি ইনকাম দেখা তে পারবে বা যে যত বেশি ডিপোজিট দেখাবে তাকে কিন্তু ব্যাংক
  মনে করবে সে এই ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্য এবং তাকে কিন্তু ক্রেডিট কার্ড এর
  পারমিশন দেওয়া হবে। এ জন্য ই বলা হয় যে ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার জন্য যে শর্ত
  গুলো রয়েছে তার মধ্যে একটি প্রধান হলো এখানে ক্রেডিট কার্ড এর জন্য অবশ্য ই
  সাবলম্বী হতে হবে যেমন আর্থিক দিক থেকে সচ্ছল হতে হবে।
স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা
  এত ক্ষণ আমরা অনেক ধরন এর ব্যাংকে ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে
  জানলাম। এখন আমরা জানবো স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা কি! অন্যান্য
  প্রেশার থেকে ডাচ বাংলা ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক
  ইত্যাদি গুলো তে কিন্তু ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার জন্য আমাদের অনেক গুলো ডকুমেন্টস
  এবং অনেক শর্ত মানতে হচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড পাওয়া খুব
  ই সহজ। স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার জন্য আপনা কে শুধুমাত্র মাধ্যমিক পাস
  করতে হবে এবং বাংলাদেশ এর নাগরিক হতে হবে। 
  এ ছাড়া ও আর যে ব্যাংক এর মাধ্যম থেকে ক্রেডিট কার্ড নিতে চাচ্ছে সেই ব্যাংক এর
  একটি অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। ব্যাংক একাউন্ট করার সময় যে নির্ধারিত বয়স দেওয়া
  হয় ক্রেডিট কার্ডের জন্য সেই নির্ধারিত বয়স এর ভিতরে বয়স থাকতে হবে। সেটি হতে
  পারে ১৬ অথবা ২০। এর পর প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এ গুলা দিতে হবে।
- ওই স্টুডেন্ট এর এন আইডি কার্ড এর ফটোকপি।
 - পাসপোর্ট এর একটি ফটোকপি।
 - অ্যাকাউন্ট এর হিসাব নম্বর।
 - প্রতি মাসে তার বাবা-মা কি পরিমান ইনকাম করে সেটির একটি কপি।
 - বাবা মা এর এন আইডি কার্ড এর ফটো কপি।
 - বাবা মা এর পাসপোর্ট এর ফটো কপি এবং ছবি।
 - ওই স্টুডেন্ট এর সার্টিফিকেট।
 - বাসা বাড়ির একটা কারেন্ট বিল এর কাগজ এর কপি।
 - ওই স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার সময় বর্তমানে যে ক্লাসে পড়বে ওই ক্লাস এর একটি প্রত্যয়ন পত্র লাগবে।
 - বাবা মা এর সিগনেচার করা একটি ব্ল্যাংক চেক ইত্যাদি।
 
লেখকের শেষ মন্তব্য
  উপরে আমরা ক্রেডিট কার্ডের জন্য যোগ্যতার শর্ত যে গুরুত্ব পূর্ণ বিষয় গুলো সম্পর্কে এখন জানলাম এ গুলো কিন্তু আমাদের
  ব্যাংক লেনদেন এর ক্ষেত্রে অনেক সময় কাজে লাগে। এবং আমাদের অনেকের ই হয় তো বা
  জানা ছিল না যে ব্যাংক এর ক্রেডিট কার্ড নিতে গেলে কি কি যোগ্যতা থাকা লাগে? আমরা
  সবাই মনে করতাম যে ক্রেডিট কার্ড হয় তো বা চাইলে ই পাওয়া যাবে। বাট এমন টা না।
  সব গ্রাহক এর জন্য কিন্তু এই ক্রেডিট কার্ড গুলো allow করা থাকে না। শুধু মাত্র
  যারা এই ক্রেডিট কার্ড এর যোগ্য তাদের কে ই ব্যাংক বেছে বেছে ক্রেডিট কার্ড গুলো
  দিয়ে থাকে। আশা করি আজকের এই পোস্ট থেকে আপনারা একটু হলে উপকৃত হয়েছেন। পরবর্তী
  তে আপনাদের ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড যোগ্যতা সম্পর্কিত আর কোন সমস্যা হবে না।

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url