একাদশী তালিকা ২০২৫ ইসকন - বাংলা একাদশী কবে জেনে নিন

আপনি কি জানেন বছরে কয়টা একাদশী থাকে, একাদশীগুলোতে কি কি করতে হয়, একাদশী করলে কি হয়, একাদশী করলে কি ফল পাওয়া যায়, একাদশী ব্রত কি জন্য করা হয় এই সকল বিষয় সম্পর্কে আপনার যদি কোন ধারনা না থাকে তাহলে আজকের পোস্টটি অবশ্যই আপনার জন্য কারণ একাদশী তালিকা ২০২৫ ইসকন নিয়ে আলোচনা জানবো ।
একাদশী তালিকা ২০২৫ ইসকন
আজকের পোস্টটি থেকে আপনারা একাদশী তালিকা সম্পর্কে জানতে পারবেন। এছাড়াও আরো জানতে পারবেন একাদশী তালিকা ২০২৫ ইসকন বা বাংলা একাদশী কবে, নির্জলা একাদশী পালনের নিয়ম, একাদশী মাহাত্ম্য এবং একাদশীতে কি কি খাওয়া নিষেধ আছে এই সকল বিষয় সম্পর্কে। আজকের পোস্টটি পড়ে আপনারা অনেক বেশি উপকৃত হবেন বলে আশা করি তো সাথেই থাকুন আর চলুন শুরু করা যাক আজকের আলোচনা।

পোস্টের সূচিপত্রঃএকাদশী তালিকা ২০২৫ ইসকন - বাংলা একাদশী কবে

একাদশী তালিকা ২০২৫ ইসকন

প্রতি বছরের ২৪ টা করে একাদশী আসে। অর্ধ বছরগুলোতে একটা একাদশী বেশি হয় তো আজকে পোস্টে একাদশী তালিকা ২০২৫ ইসকন সম্পর্কে বিস্তারিত নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ
  • ১.পুত্রদা একাদশী শুক্রবার ১০ জানুয়ারি পরের দিন পারণের সময় ৬:৪৫ হতে ৮:৫৫ পর্যন্ত।
  • ২.শততীলা একাদশী শনিবার ২৫ শে জানুয়ারি পরের দিন পারণের সময় ৬:৩৪ হতে ১০: ১৫ পর্যন্ত।
  • ৩.ভৈমী একাদশী শনিবার ৮ ই ফেব্রুয়ারি পরের দিন পারণের সময় ৬:২৮ হতে ১০: ১৫ পর্যন্ত।
  • ৪.বিজয়া একাদশী সোমবার ২৪ শে ফেব্রুয়ারি পরের দিন পারণের সময় ৬:১৮ হতে ১০:১০ পর্যন্ত।
  • ৫.আমলকি ব্রত একাদশী সোমবার ১০ই মার্চ পরের দিন পারণের সময় ৬:০৬ হতে ৮:৪৫ পর্যন্ত।
  • ৬.পাপমোচনী একাদশী বুধবার ২৬ শে মার্চ পরের দিন পারণের সময় ৫:৫১ হতে ৯: ৫৬ পর্যন্ত।
  • ৭.কামদা একাদশী বুধবার ৯ এপ্রিল পরের দিন পারনের সময় ৫:৩৮ হতে ৯:৪৯ পর্যন্ত।
  • ৮.বরুথিনী একাদশী বৃহস্পতিবার ২৪ এপ্রিল পরের দিন পারনের সময় ৫:২৫ হতে ৯:৪৪ পর্যন্ত।
  • ৯.মোহিনী একাদশী বৃহস্পতিবার ৮ই মে পরের দিন পারনের সময় ৫:১৬ হতে ৯: ৩৯ পর্যন্ত।
  • ১০.অপরা একাদশী শুক্রবার ২৩ শে মে পরের দিন পারনের সময় ৫:১০ হতে ৯:৩৭ পর্যন্ত।
  • ১১.পান্ডব নির্জলা শনিবার ৭ই জুন পরের দিন পারনের সময় ৫:০৯ হতে ৭:৫২ পর্যন্ত।
  • ১২.যোগিনী একাদশী রবিবার ২২ শে জুন পরের দিন পালনের সময় ৫:১০ হতে ৯:৪০ পর্যন্ত।
  • ১৩.শয়ন একাদশী রবিবার ৬ জুলাই পরের দিন পারনের সময় ৫ঃ১৫ হতে ৯:৪৫ পর্যন্ত।
  • ১৪.কামিকা একাদশী সোমবার পরের দিন পারনের সময় ২০ শে জুলাই ৫ঃ২২ হতে ৭ঃ৩৯ পর্যন্ত।
  • ১৫.পবিত্রপণা একাদশী মঙ্গলবার ৫ ই আগস্ট পরের দিন পারুনের সময় ৫ঃ ২৮ হতে ৯ঃ৪৮ পর্যন্ত।
  • ১৬.অন্নদা একাদশী মঙ্গলবার ১৯শে আগস্ট পরের দিন পারনের সময় ৫: ৩২ হতে ৯:৪৯ পর্যন্ত।
  • ১৭.পার্শ্ব একাদশী বৃহস্পতিবার ৪ সেপ্টেম্বর পরেরদিন পারনের সময় ৫:৩৮ হতে ৯ঃ৪৯ পর্যন্ত।
  • ১৮.ইন্দিরা একাদশী বুধবার ১৭ সেপ্টেম্বর পরের দিন পারনের সময় ৬:০৭ হতে ৯: ৪৭ পর্যন্ত।
  • ১৯.পাশঙ্কুশ একাদশী শুক্রবার ৩ অক্টোবর পরের দিন পারুনের সময় ৫ঃ ৪৩ হতে ৯ঃ৪৫ পর্যন্ত।
  • ২০.রমা একাদশী শুক্রবার ১৭ অক্টোবর পরেরদিন পারনের সময় ৫:৫২ হইতে ৯:৪৩ পর্যন্ত।
  • ২১.উত্থান একাদশী রবিবার ২ নভেম্বর পরের দিন পারনের সময় ৫ঃ৫৮ হতে ৯ঃ৪৫ পর্যন্ত।
  • ২২.উৎপন্ন একাদশী শনিবার ১৫ ই নভেম্বর পরের দিন পারনের সময় ৯ঃ৪২ হতে ৯ টা ৪৭ পর্যন্ত।
  • ২৩.মোকদা একাদশী সোমবার ১ ই ডিসেম্বর পরের দিন পারনের সময় ৬: ১৭ হইতে ৯: ৫৫ পর্যন্ত।
  • ২৪.সফলা একাদশী মঙ্গলবার ১৬ই ডিসেম্বর পরের দিন পারনের সময় ৬: ২৭ হতে ১০:০২ পর্যন্ত।
  • ২৫.পুত্রদা একাদশী বুধবার ৩১ শে ডিসেম্বর পরের দিন পারণের সময় ৬:৩৪ হতে ১০: ১০ পর্যন্ত।

বাংলা একাদশী কবে

একাদশী সময় নির্ধারণ করা হয় তাদের অবস্থান দেখে আর এই চান্দ্র তিথি কৃষ্ণপক্ষ ও শুক্লপক্ষের একাদশী মাস অনুসারে হয়। এই একাদশী পালনের কিন্তু বিশেষ উদ্দেশ্য রয়েছে। সেটি হলো শরীর স্বাস্থ্য মন ভালো রাখার জন্যই কিন্তু এই একাদশী ব্রত পালন করা হয়। নিচে আমরা এই একাদশী সম্পর্কে কিছু তথ্য জানবো। বাংলা একাদশীগুলো কবে হয় কোন দেবতার হয় এইসব বিষয় নিয়ে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করব। বাংলা একাদশী কবে জেনে নিন।
  • ১.বাংলা চৈত্র মাসে কৃষ্ণ পক্ষের একাদশী - পাপ বিমোচনী ও শুক্ল পক্ষের একাদশী - কামদা একাদশী এর অধিষ্ঠাত্রী দেবতা রাম-বিষ্ণু।
  • ২.বৈশাখ মাসে কৃষ্ণ পক্ষের একাদশী - বারুথীনি একাদশী ও শুক্ল পক্ষে একাদশী - মোহিনী একাদশী এর অধিষ্ঠাত্রী দেবতা মধুসূদন বিষ্ণু।
  • ৩.জৈষ্ঠ মাসে কৃষ্ণ পক্ষের একাদশী - অপেরা একাদশী ও শুক্ল পক্ষে একাদশী - নির্জলা একাদশী এর অধিষ্ঠাত্রী দেবতা ত্রিবিক্রম বিষ্ণু।
  • ৪.আষাঢ় মাসে কৃষ্ণ পক্ষের একাদশী - যোগিনী একাদশী ও শুক্ল পক্ষের একাদশী -শয়নী একাদশী এর অধিষ্ঠাত্রী দেবতা বামন।
  • ৫.শ্রাবণ মাসে কৃষ্ণ পক্ষের একাদশী - কামিকা একাদশী ও শুক্ল পক্ষের একাদশী - শ্রাবণ পুত্রদা একাদশী এর অধিষ্ঠাত্রী দেবতা শ্রীধর।
  • ৬.ভাদ্র মাসে কৃষ্ণ পক্ষের একাদশী - অন্নদা একাদশী ও শুক্ল পক্ষের একাদশী - পার্শ্ব একাদশী এর অধিষ্ঠাত্রী দেবতা ঋষিকেশ।
  • ৭.আশ্বিন মাসে কৃষ্ণ পক্ষের একাদশী - ইন্দ্র একাদশী ও শুক্লপক্ষের একাদশী - পাশঙ্কুশ একাদশী এর অধিষ্ঠাত্রী দেবতা পদ্মনাভ।
  • ৮.কার্তিক মাসে কৃষ্ণ পক্ষের একাদশী - রমা একাদশী ও শুক্লপক্ষের একাদশী - প্রবধনী একাদশী এর অধিষ্ঠাত্রী দেবতা দমাদার।
  • ৯.অগ্রহায়ণ মাসে কৃষ্ণপক্ষের একাদশী - উৎপন্ন একাদশী ও শুক্লপক্ষে একাদশী - বৈকুণ্ঠ একাদশী এর অধিষ্ঠাত্রী দেবতা কেশব ।
  • ১০.পৌষ মাসে কৃষ্ণ পক্ষের একাদশী - সফলা একাদশী ও শুক্লপক্ষের একাদশী - পৌষ পুত্রদা একাদশী এর অধিষ্ঠাত্রী দেবতা নারায়ণ।
  • ১১.মার্চ মাসে কৃষ্ণপক্ষের একাদশী - শততীলা একাদশী ও শুক্লপক্ষের একাদশী - ভৌমি একাদশী বা জয় একাদশী এর অধিষ্ঠাত্রী দেবতা মাধব।
  • ১২.ফাল্গুন মাসে কৃষ্ণ পক্ষের একাদশী - বিজয়া একাদশী ও শুক্ল পক্ষের একাদশী - আমলকি একাদশী এর অধিষ্ঠাত্রী দেবতা গোবিন্দ কৃষ্ণ।
  • ১৩.বছরের দুই থেকে তিনবার অধিক মাসে কৃষ্ণপক্ষের একাদশী - পদ্মিনী বিশুদ্ধ একাদশী ও শুক্লপক্ষের একাদশী - পরমশুদ্ধ একাদশী এর অধিষ্ঠাত্রী দেবতা পুরুষোত্তম।

একাদশী করলে কি ফল পাওয়া যায়

একাদশী করলে কি ফল পাওয়া যায় তার আগে আমাদেরকে জানতে হবে একাদশী কি জন্য করা হয়। একাদশী মূলত সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত পাওয়ার জন্য, শরীর স্বাস্থ্যকে ভালো রাখার জন্যই একাদশী পালন করা হয়। বলা হয়ে থাকে যে ধ্যান জ্ঞান যোগ্য ইত্যাদি করলে যে ফলপ্রাপ্ত না হয় একমাত্র একাদশী ব্রত পালন করলে তার থেকেও বেশি ফল পাওয়া যায়। 
তবে একাদশী টি সঠিক নিয়ম মেনে পালন করতে হবে এখানে একাদশী পালনে যদি কোন ভুল হয়ে থাকে তাহলে সারা জীবনের জন্য আপনাকে ঝামেলা পোহাতে হবে। একাদশী পালনে সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হতে পারবে, তাকে নরকে যেতে হবে না, সারা বছর ধরে দান করার যে প্রাপ্তি তার থেকেও বেশি প্রাপ্তি হবে এই একাদশী পালন করলে।

একাদশী কি সবাই করতে পারে

একাদশী যদি পালন করতে হয় তাহলে সব নিয়ম কানুন মেনেই পালন করতে হবে। এখানে কোন প্রকার কোন ভুল করা যাবে না। একাদশী সবাই পালন করতে পারেনা। একাদশী পালনে যে নিয়ম আছে তার ভিতরে বিধবা নারীরা এই ব্রত পালন করতে পারবে না। যাদের স্বামী মারা গিয়েছে বা স্বামী নাই তারা নেই একাদশী ব্রত পালন করতে পারে না তাদের জন্য বিশেষভাবে এখানে নিষেধাজ্ঞা আছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের মনে করেন এই একাদশী বিধবা নারীদের জন্য না বিধবা নারীরা এই একাদশী পালন করলে অমঙ্গল হবে তাই বিধবাদের জন্য এই একাদশী পালন করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

নির্জলা একাদশী পালনের নিয়ম

নির্জলা একাদশীটি অতি গরমের ভিতর পড়ে থাকে তাই এই একাদশী টি পালন একটু কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। অতি গরমের ভিতর উপোস থেকে পানি না খেয়ে এই একাদশী পালন করা সত্যি অনেক কঠিন। এই নির্জলা একাদশীটি যেদিন পড়বে সেদিন সূর্য ওঠার আগে খেয়ে নিতে হবে। এরপর ২৪ ঘন্টার মতো উপোস থাকতে হবে। ধরেন আজকে আর সকালে সূর্য ওঠার আগে খেলেন আর একদিন পর সূর্য অস্ত্র যাওয়ার পরে খেতে পারবেন। 

মানে আপনাকে পুরো ২৪ ঘন্টা উপোস থেকে এই নির্জলা একাদশীটি পালন করতে হবে। এর ভিতরে শুধুমাত্র আর দুগ্ধ জাতীয় জিনিস ফল এবং চা পান করতে পারবেন। এছাড়াও অতিরিক্ত প্রয়োজনে শুধুমাত্র এক ফোটা পানি খেতে পারবেন। এর থেকে বেশি কিছু আর খাওয়া যাবে না।

একাদশী মাহাত্ম্য

হিন্দু ধর্মমতে একাদশী পালনের মাহাত্ম্য তে রয়েছে যে সঠিকভাবে একাদশী পালনে মনের সকল ইচ্ছা পূরণ হয় সাথে শরীর স্বাস্থ্য এমন মানসিকতার ভালো থাকে। এই একাদশীতে খুব সকালে গোসল শেষ করে কাজ করলে জ্বর হয়ে দ্বীপ জ্বালিয়ে বিষ্ণু ভগবানের পূজো করলে মনষ্কামনা পূর্ণ হয়। বিষ্ণু ভগবানের অভিষেক করতে হয় দিয়ে ফুল দিয়ে তুলসী পাতা দিয়ে এবং গঙ্গাজল দিয়ে। এই দিনে উপোস থেকে ব্রত রেখে ভগবানের পূজোতে আরতি দিতে হয়। 

এই একাদশীতে বিষ্ণু ভগবানের পূজা করতে হবে অতি ধ্যান দিয়ে আর সাথে মা লক্ষ্মী পূজা করতে হবে। অবশ্যই উপোস থাকতে হবে। বলা হয় যে এই দিনে যদি কেউ উপোস থেকে সঠিক নিয়ম মেনে এই পুজোটি সম্পন্ন করে তাহলে তার আর কোন ধরনের কোন সমস্যা থাকে না সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায় পাপমুক্ত হয় সুখ শান্তিতে ভরপুর থাকে। গুরুজনেরা বলেন হিন্দু ধর্মের মধ্যে যদি এই একাদশী টি সঠিক নিয়ম মেনে পালন করতে পারে তাহলে একটা মানুষ অনেকদিন ধরে যোগ্য করলে যেই প্রাপ্তি লাভ হয় বা। 
দান ছক্কা করলে যে ফল পাওয়া যায় তার থেকেও বেশি ফল পাওয়া যায় এই একাদশী ব্রত পালন করলে। একাদশীর মাহাত্ম্য সম্পর্কে যারা জানেন না তাদের উচিত একাদশীর মাহাত্ম্যটা জেনে একাদশী সঠিক নিয়ম-কানুন মেনে একাদশী ব্রত পালন করা। আমি মনে করি হিন্দু সম্প্রদায়ের ভিতরে একাদশীর মাহাত্ম্য সম্পর্কে সকলেরই ধারণা রাখা উচিত যারা জানেন না তারা অবশ্যই জেনে নিবেন।

একাদশীতে কি কি খাওয়া যায়

একাদশী পালনে যেত আমাদের অনেক নিয়ম কানুন মেনে নিতে পালন করতে হয় তাই একাদশী সেম একই কি কি খাওয়া যাবে কি কি খাওয়া যাবেনা এগুলো আমাদেরকে আগে জানতে হবে আজকের এই পোস্টটিতে আপনারা জানতে পারবেন এখানে একাদশী পালনে কি কি খাওয়া যায়। একাদশী পালনে যতটুকু সময় আপনারা উপোস থাকবেন তার ভিতরে শুধুমাত্র দুগ্ধ জাতীয় জিনিস, বিভিন্ন রকমের ফলমূল, চা ইত্যাদি খেতে পারবেন। এছাড়াও যদি অনেক বেশি প্রয়োজন পড়ে তাহলে এক ফোঁটা পানিও খেতে পারবেন। তবে উপোস থাকাকালীন সময়ে এক ফোটার বেশি পানি খাওয়া নিষেধ আছে।

একাদশীতে কি কি খাওয়া যাবে না

একাদশীতে কি কি জিনিস খাওয়া যাবেনা আমাদেরকে সেই গুলো আগে জানতে হবে তারপর একাদশী পালন করতে হবে কারণ ভুলভাল নিয়মে একাদশী পালন করলে নরকে যেতে হবে। তাই একাদশীর দিনে চাল, গম, ভট্টা জাতীয় জিনিস, মদ্যপান ইত্যাদি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। হিন্দু সম্প্রদায়ের ভিতরে এই একাদশী পালনে এগুলো খাওয়া একেবারেই নিষিদ্ধ আছে। একাদশীর দিনে চাল খেলে হিন্দু সম্প্রদায়ের ভিতরে গুরুজন যারা আছেন তারা মনে করেন যে তিনি কোন এক নিকৃষ্ট জীব থেকে জন্মগ্রহণ করেছেন। 

এজন্যই হয়তো বা তারা একাদশী দিনে চাল খাওয়ার মত ভুল করছেন। একাদশীর দিনে যারা উপোস থাকে তাদের তো এগুলো খাওয়া নিষেধ তবে যারা এই একাদশী দিনে উপোস থাকে না তাদেরও কিন্তু চাল, গম ভুট্টা ইত্যাদি খাওয়া নিষিদ্ধ রয়েছে। যেহেতু একাদশীটি ভগবান বিষ্ণুকে কেন্দ্র করে উৎসর্গ করা হয় এই জন্য এই একাদশীর দিনে যথাযথভাবে যদি এই একাদশী পালন করা হয় তাহলে কিন্তু সুখ সমৃদ্ধির কোন অভাব পড়ে না। হিন্দু শাস্ত্র মতে একাদশীর দিনে তর্ক বিতর্ক এসব করা যাবে না। মদ্যপান করা যাবে না আর মহিলাদের অপমান করা যাবে না। একাদশীর দিনে ভগবান বিষ্ণুর ধ্যান করলে শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকে। 
তাই সবার উচিত এই একাদশীর দিনে বেশি বেশি করে ভগবান বিষ্ণুর ধ্যান করা। মহিলাদের যেহেতু লক্ষ্মী মানা হয় তাই এই একাদশীর দিনে কোন মহিলাকে অপমান করলে তারা সারাজীবন চরম দুর্ভোগে শিকার হয়। একাদশীর নিয়ম গুলো যেহেতু সঠিক ভাবে পালন করা দরকার বা পালন করতেই হয় এটি নিয়মের ভিতরে পড়ে। তাই একাদশী দিনে মদ্যপান থেকে, নেশা জাতীয় জিনিস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে কারণ এই দিনে মদ্যপান করলেন তারা সারা জীবন কষ্টের ভিতরে পড়ে থাকে।

একাদশীতে কি চা খাওয়া যায়

একাদশী অনেক গুলো নিয়ম-কানুন মেনে পালন করতে হয়। কিন্তু সম্প্রদায়ের ভিতরে আমাদের এই একাদশী গুলোতে সব থেকে বেশি নিয়ম কানুন মেনে চলতে হয়। কারণ একাদশীতে যদি আমরা কোন ভুল করে থাকি তাহলে আমাদের সারা জীবন সেই সমস্যা নিয়ে পড়ে থাকতে হবে। একাদশী মূলত ২৪ ঘন্টা বা একদিনের জন্য উপোস থেকে পালন করা হয়। আরেকটি হচ্ছে ১২ ঘণ্টার মতো মানে সকালে সূর্য ওঠার আগে খেয়ে সূর্য অস্ত্র যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে উপোষ ভঙ্গ করা হয়। 

যারা একাদশী সঠিকভাবে পালন করতে চাই তারা এই সারাদিনের উপসে অতিরিক্ত ইমারজেন্সি ছাড়া এখনো কিছু পান করতে পারবে না। দুগ্ধ জাতীয় জিনিস, ফল ইত্যাদি খেতে পারবে। তবে যদি খুব বেশি প্রয়োজন পড়ে তাহলে একফোঁটা আপনি পানি খেতে পারেন। আর চা খাওয়ারও কিন্তু কোন নিষেধাজ্ঞা নেই আপনি চাইলে চাও পান করতে পারেন। এই একাদশীতে দুগ্ধ জাতীয় জিনিস, চা, ফল ইত্যাদি হাওয়া যাবে তবে পানি এক ফোঁটার বেশি খাওয়ার কোন অনুমতি নেই

লেখক এর শেষ মন্তব্য

হিন্দু সম্প্রদায়ের ভিতরে যে নিয়ম কানুন গুলো থাকে যদি আপনি হিন্দু হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে সঠিক নিয়ম মেনে সেই প্রথা গুলো পালন করতে হবে। আর আজকের পোস্টটিতে আমি একাদশী তালিকা ২০২৫ ইসকন নতুন তথ্য দেখানোর চেষ্টা করেছি একাদশী গুলোতে কি হয় বা একাদশী করলে কি ফল পাওয়া যায়। একাদশীর মাহাত্ম্য সম্পর্কেও কিন্তু যাদের জ্ঞান নেই তারা আজকের পোস্টটি থেকে মোটামুটি একটা ধারণা পেয়ে গেছেন বলে আমি মনে করি। একাদশী মূলত নিজেদের শরীর স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্যই করা হয় থাকে। সাথে পাপ মোচন ও হয়ে থাকে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
AB AKASH
AB AKASH
AB AKASH is a skilled Digital Marketing and Content Writing Expert specializing in driving organic growth through Blog SEO and strategic content creation. With a proven ability to translate complex ideas into compelling, high-ranking web content, AB AKASH helps businesses significantly boost their online visibility and engagement. Currently completing his Honours 4th Year in the Department of English at Rajshahi New Government Degree College.thank you.