মাইগ্রেন প্রতিরোধে ডাক্তারের মতবাদ জানুন

মাইগ্রেন (Migraine) একটি সাধারণ কিন্তু জটিল নিউরোলজিক্যাল সমস্যা। এটি শুধু একটি সাধারণ মাথাব্যথা নয় বরং এটি একটি বিশেষ ধরনের তীব্র মাথাব্যথা যা অনেক সময় বমি, আলো ও শব্দের প্রতি সংবেদনশীলতা, চোখে ঝাপসা দেখা সহ নানা উপসর্গ নিয়ে আসে।
মাইগ্রেন প্রতিরোধে ডাক্তারের মতবাদ
অনেকেই প্রশ্ন করেন মাইগ্রেনের ব্যথা কেন হয়? এই ব্লগ পোস্টে আমরা জানবো মাইগ্রেনের পেছনের মূল কারণ, শরীরে কীভাবে এর প্রভাব পড়ে এবং কিভাবে এ থেকে বাঁচা যায়।

পোস্টের সূচিপত্রঃমাইগ্রেন নিয়ে জরুরী তথ্য আলোকপাত

মাইগ্রেন কি

মাইগ্রেন (Migraine) হলো এক ধরনের স্নায়বিক ব্যাধি, যা সাধারণ মাথাব্যথার চেয়ে অনেক বেশি তীব্র এবং কষ্টদায়ক। এটি শুধু মাথার ব্যথা নয়, বরং এর সঙ্গে আরও কিছু স্নায়বিক লক্ষণ যুক্ত থাকে।মাইগ্রেন শব্দের উৎপত্তি গ্রিক শব্দ "হেমিক্রানিয়া" থেকে, যার অর্থ "মাথার অর্ধেক"। এটি থেকে বোঝা যায় যে, মাইগ্রেনের ব্যথা সাধারণত মাথার এক পাশে হয়ে থাকে। যদিও কিছু ক্ষেত্রে এটি পুরো মাথাতেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।

মাইগ্রেন হওয়ার মূল কারণ কী?

মাইগ্রেন (Migraine) একটি নিউরোভাসকুলার ডিজঅর্ডার, যার ফলে মস্তিষ্কের রক্তনালী ও স্নায়ুতন্ত্রে পরিবর্তন ঘটে। এটি শুধুমাত্র মাথাব্যথা নয়, বরং একটি জটিল শারীরবৃত্তীয় (physiological) প্রক্রিয়ার ফলাফল। মাইগ্রেনের নির্দিষ্ট কোনো একক কারণ নেই এটি বহুবিধ কারণের সমন্বয়ে সৃষ্ট একটি সমস্যা। নিচে আমরা প্রধান কারণ সমূহ গুলো সম্পর্কে জানবোঃ
  • সেরোটোনিন ও নিউরোট্রান্সমিটারের ভারসাম্য বিঘ্নঃ 
  • এটি একটি সহজ ভাবে উপস্থাপন করি, সেরোটোনিন হলো এক ধরনের নিউরোট্রান্সমিটার, যা আমাদের মস্তিষ্কে তৈরি হয়। এটি একটি রাসায়নিক পদার্থ, যা আমাদের স্নায়ুকোষের মধ্যে সংকেত আদান-প্রদান করতে সাহায্য করে। সহজভাবে বলতে গেলে, সেরোটোনিন আমাদের মন ভালো রাখতে, মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করতে এবং সুখ অনুভব করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি আমাদের ঘুম, ক্ষুধা, এবং হজম প্রক্রিয়াকেও প্রভাবিত করে। অপরদিকে নিউরোট্রান্সমিটার (Neurotransmitter) হলো ও এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ, যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এরা আমাদের শরীরের স্নায়ুকোষগুলোর (neuron) মধ্যে সংকেত আদান-প্রদান করতে সাহায্য করে। সহজভাবে বলতে গেলে, স্নায়ুকোষগুলো একে অপরের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নয়। তাদের মাঝে একটি ছোট ফাঁকা জায়গা থাকে, যাকে বলা হয় সিনাপ্স (synapse)। যখন একটি স্নায়ুকোষ থেকে অন্য স্নায়ুকোষে কোনো বার্তা পাঠাতে হয়, তখন সেই বার্তাটি নিউরোট্রান্সমিটারের মাধ্যমে এই সিনাপ্স পার হয়। এখন যখন আমাদের শরীরের এই দুটি রাসায়নিক পদার্থের ভারসাম্যের পার্থক্য দেখা দেয় তখননি আমরা অনুভব করি মাইগ্রেনের ব্যথা। জেনে রাখা ভালো যে মাইগ্রেনের সময় সেরোটোনিনের মাত্রা অনেক অংশে কমে যায় এর ফলে আমাদের সেই নির্দিষ্ট রক্তনালী গুলো একটু বেশি প্রসারিত হয়ে ইনফ্লেমেশন বা ব্যথার সৃষ্টি করে যা মাইগ্রেন নামে পরিচিত। 

  • আর এই পরিবর্তনের জন্য আমাদের ব্যথার নার্ভ ( ট্রাইজেমিনাল) সক্রিয় হয়ে মস্তিষ্কে সংকেত প্রেরণ করে থাকে। এখন আমরা মাইগ্রেন নিয়ে একটি স্বচ্ছ ধারনা পেলাম। এর পর আমরা জানবো মাইগ্রেন কিভাবে শরীরে কাজ করে। যা নিচের অনুচ্ছেদে তুলে ধরা হলোঃ

মাইগ্রেন কিভাবে কাজ করে?

মাইগ্রেনের সময় মস্তিষ্কের রক্তনালী সঙ্কুচিত ও প্রসারিত হয়। এর ফলে নার্ভ সিস্টেমে একধরনের জ্বালাময়ী প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। সেই সঙ্গে মাথার এক পাশে তীব্র ব্যথা, চোখে আলো অসহ্য লাগা, বমি ভাব দেখা দেয়।এটি সাধারণত ৪ ঘন্টা থেকে শুরু করে ৭২ ঘন্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। মাইগ্রেন একটি জটিল স্নায়বিক ব্যাধি, যা তীব্র মাথাব্যথার কারণ হয়। এটি কোনো সাধারণ মাথাব্যথা নয়, বরং মস্তিষ্কের স্নায়ু এবং রক্তনালীর মধ্যে কিছু পরিবর্তনের ফলে এই ব্যথা সৃষ্টি হয়। মাইগ্রেনের সঠিক কারণ এখনও পুরোপুরি জানা যায়নি, তবে এটি বেশ কিছু উপায়ে কাজ করে বলে মনে করা হয়।
  • ১.সেরোটোনিনের ভূমিকাঃ মস্তিষ্কে সেরোটোনিন নামক নিউরোট্রান্সমিটারের ভারসাম্যহীনতা মাইগ্রেনের একটি প্রধান কারণ। সাধারণত সেরোটোনিন আমাদের মেজাজ, ঘুম এবং ব্যথার অনুভূতি নিয়ন্ত্রণ করে। যখন সেরোটোনিনের মাত্রা পরিবর্তিত হয়, তখন মস্তিষ্কের রক্তনালীগুলো স্ফীত বা প্রসারিত হয়ে যায়, যার ফলে ব্যথা শুরু হয়।
  • ২.রক্তনালীর প্রসারণঃ মাইগ্রেনের আক্রমণের সময় মস্তিষ্কের বাইরের দিকের ধমনীগুলো (arteries) স্ফীত হয়ে যায়। এই স্ফীত হওয়া রক্তনালীগুলো আশেপাশের স্নায়ুগুলোতে চাপ সৃষ্টি করে, যা তীব্র স্পন্দনশীল ব্যথার অনুভূতি তৈরি করে।
  • ৩.স্নায়বিক পরিবর্তনঃ মাইগ্রেনকে প্রায়শই একটি "নিউরোভ্যাসকুলার ডিজঅর্ডার" বলা হয়, কারণ এটি স্নায়বিক (নিউরোন) এবং রক্তনালীর (ভাসকুলার) উভয় পরিবর্তনের ফল। কিছু গবেষণা থেকে জানা যায়, মস্তিষ্কের স্নায়ুগুলো থেকে এক ধরনের তরঙ্গ ছড়িয়ে পড়ে, যাকে "কর্টিক্যাল স্প্রেডিং ডিপ্রেশন" বলা হয়। এই তরঙ্গ মস্তিষ্কের কার্যকারিতায় পরিবর্তন আনে এবং রক্তনালীগুলোকে প্রভাবিত করে, যা মাইগ্রেনের ব্যথার সূত্রপাত ঘটায়।
মাইগ্রেনের ব্যথা সাধারণত মাথার এক পাশ থেকে শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে পুরো মাথায় ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই ব্যথার সঙ্গে প্রায়শই বমি বমি ভাব, বমি, এবং আলো ও শব্দের প্রতি সংবেদনশীলতা দেখা যায়। এখন আমরা নিচের অনুচ্ছেদের মাধ্যমে জানবো আমরা কিভাবে বুঝবো এটা মাইগ্রেনের ব্যথা। বা মাইগ্রেনের ব্যথার লক্ষণ গুলো যা ডাক্তারের আলোকে উপস্থাপন করা হলো চলুন জেনে নিই।

মাইগ্রেনের ব্যথার লক্ষণ

মাইগ্রেনের ব্যথা আমাদের সকলের কম-বেশি সকলেই পরিচিত। তবুও যদি আমরা একটি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী তথ্য গুলো জেনে নিই তাহলে কেমন হয়? চলুন তাহলে আমরা এমন একজন সুনাম ধন্য মাইগ্রেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের মতবাদ গুলো জেনে নিই। ডাঃ এস এ মল্লিকের মতে, মাইগ্রেন একটি বিশেষ ধরনের মাথাব্যথা, যা সাধারণত কিছু নির্দিষ্ট লক্ষণ নিয়ে আসে। এটি সাধারণ মাথাব্যথার থেকে ভিন্ন, এবং এই লক্ষণগুলো জানা থাকলে মাইগ্রেন শনাক্ত করা সহজ হয়। ডাঃ মল্লিকের আলোচনা থেকে জানা যায়, মাইগ্রেনের কিছু প্রধান লক্ষণ হলোঃ
  • ১.তীব্র এবং স্পন্দনশীল ব্যথাঃ ব্যথা সাধারণত মাথার একপাশে শুরু হয় এবং তা দপদপ করতে থাকে। মাঝে মাঝে এটি পুরো মাথায় ছড়িয়ে যেতে পারে।
  • ২.বমি বমি ভাব ও বমি: মাইগ্রেনের ব্যথার সঙ্গে প্রায়শই বমি বমি ভাব হয়, এবং অনেক ক্ষেত্রে বমি হয়।
  • আলো ও শব্দের প্রতি সংবেদনশীলতাঃ মাইগ্রেন আক্রান্ত ব্যক্তিরা তীব্র আলো এবং জোরে শব্দ সহ্য করতে পারেন না। এ সময় আলো বা শব্দের সংস্পর্শে এলে ব্যথা আরও বেড়ে যেতে পারে।
  • ৩.দৃষ্টিশক্তির সমস্যাঃ কিছু মাইগ্রেন রোগীর ক্ষেত্রে ব্যথার আগে চোখে ঝাপসা দেখা, আলোর ঝলকানি দেখা বা চোখের সামনে আঁকাবাঁকা রেখা দেখা যাওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে। এটিকে "মাইগ্রেন উইথ অরা" বলা হয়।
  • ৪.শারীরিক অস্বস্তিঃ মাথা ব্যথার সাথে ক্লান্তি, ঘাড়ে ব্যথা বা শক্ত হয়ে যাওয়া, এবং মেজাজের পরিবর্তন হতে পারে।
ডাঃ মল্লিক আরও উল্লেখ করেন যে, মাইগ্রেনের ব্যথা সাধারণত কয়েক ঘণ্টা থেকে শুরু করে কয়েক দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। সঠিক সময়ে এর লক্ষণগুলো চিহ্নিত করে চিকিৎসা শুরু করা অত্যন্ত জরুরি। এখন আমরা খুব সহজেই বুঝতে পারবো যে মাইগ্রেনের ব্যথা ঠিক কোনটা বা কেমন। এখন আমরা ইতিমধ্যে মাইগ্রেনের ব্যথার লক্ষণ গুলো জানলাম এখন আমরা নিম্নের অনুচ্ছেদে জানবো। এর থেকে কিভাবে প্ররিত্রান বা মুক্তি পাবো। তা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী উপস্থাপন করা হলো চলুন সেসব তথ্য গুলো জেনে নিই।

মাইগ্রেন প্রতিরোধে ডাক্তারের মতবাদ

মাইগ্রেন প্রতিরোধের বিষয়ে ডাক্তারদের মতবাদ সাধারণত জীবনযাত্রার পরিবর্তন এবং কিছু বিশেষ কৌশল অবলম্বনের ওপর জোর দেয়। এটি শুধু ওষুধ নির্ভর নয়, বরং কিছু নিয়ম মেনে চললে মাইগ্রেনের আক্রমণ অনেকাংশে কমানো সম্ভব। ডাঃ এস এ মল্লিক এবং অন্যান্য ডাক্তারদের মতে, মাইগ্রেন নিরাময় করা বেশ কঠিন, তবে এর আক্রমণকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। প্রতিটি মানুষের ক্ষেত্রে ট্রিগার ভিন্ন হতে পারে, তাই নিজের শরীরের ধরন বোঝা এবং সেই অনুযায়ী জীবনযাত্রা পরিবর্তন করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত ডাক্তাররা যে পরামর্শগুলো দিয়ে থাকেন, সেগুলো নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
  • ১. ট্রিগার শনাক্ত করা এবং এড়িয়ে চলা ডায়েরি রাখা, মাইগ্রেনের ব্যথা কখন শুরু হয়, তার আগে কী কী খাবার খেয়েছিলেন বা কী কী কাজ করেছিলেন, তা একটি ডায়েরিতে লিখে রাখা। এর মাধ্যমে আপনি সহজেই আপনার ব্যক্তিগত ট্রিগারগুলো চিনতে পারবেন। সাধারণ ট্রিগার, কিছু সাধারণ ট্রিগার হলোঃ খাবার, চকলেট, পনির, কফি, অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার, টমেটো, চীনাবাদাম। এবং পরিবেশঃ তীব্র আলো, উচ্চ শব্দ, কড়া রোদ, অতিরিক্ত ঠান্ডা বা গরম। অন্যান্যঃ ঘুমের অভাব, মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা, অতিরিক্ত ভ্রমণ, অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণ।
  • ২. জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনা
  • নিয়মিত ঘুমঃ প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানো এবং ঘুম থেকে ওঠা। অপরিমিত ঘুম মাইগ্রেনের অন্যতম প্রধান কারণ।
  • মানসিক চাপ কমানোঃ যোগব্যায়াম, ধ্যান, গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম (deep breathing) এবং নিয়মিত হালকা শরীরচর্চা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
  • সুষম খাদ্যঃ সময় মতো খাবার খাওয়া এবং কোনো বেলার খাবার বাদ না দেওয়া। ম্যাগনেসিয়াম-সমৃদ্ধ খাবার (যেমনঃ ঢেঁকি ছাঁটা চাল, বার্লি), ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়াম মাইগ্রেন প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে। পর্যাপ্ত পানি পানঃ শরীরকে পানিশূন্য হতে না দেওয়া। ডিহাইড্রেশন মাইগ্রেনের একটি পরিচিত কারণ।
  • ৩. ওষুধ ও অন্যান্য চিকিৎসা
  • প্রতিরোধমূলক ওষুধঃ যাদের ঘন ঘন মাইগ্রেনের আক্রমণ হয়, তাদের জন্য ডাক্তাররা কিছু প্রতিরোধমূলক ওষুধ (Preventive Medication) দিতে পারেন। এই ওষুধগুলো নিয়মিত সেবন করলে মাইগ্রেনের আক্রমণের তীব্রতা ও সংখ্যা কমে যায়। সঠিক সময়ে চিকিৎসা: ব্যথার প্রাথমিক লক্ষণ দেখা মাত্রই চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ সেবন করা। এতে ব্যথাকে তীব্র হতে দেওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

মাইগ্রেন নিয়ে শেষ কথা

মাইগ্রেন নিয়ে শেষ কথা হলো, এটি একটি সাধারণ মাথাব্যথা নয়, বরং এটি একটি জটিল স্নায়বিক ব্যাধি। এটি আপনার দৈনন্দিন জীবনযাত্রাকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। মাইগ্রেন পুরোপুরি নিরাময় করা কঠিন হলেও, একে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। মনে রাখবেন, মাইগ্রেন নিয়ে হতাশ না হয়ে এটিকে একটি দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করা উচিত এবং এর সঙ্গে লড়াই করার জন্য সঠিক জ্ঞান ও পদ্ধতি অনুসরণ করা প্রয়োজন। একজন চিকিৎসকের পরামর্শে পরিকল্পিত জীবনযাত্রা মেনে চললে মাইগ্রেনকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
AB AKASH
AB AKASH
AB AKASH is a skilled Digital Marketing and Content Writing Expert specializing in driving organic growth through Blog SEO and strategic content creation. With a proven ability to translate complex ideas into compelling, high-ranking web content, AB AKASH helps businesses significantly boost their online visibility and engagement. Currently completing his Honours 4th Year in the Department of English at Rajshahi New Government Degree College.thank you.