ডিপিএস vs এফডিআর পার্থক্য, সুবিধা ও অসুবিধা গুলো জেনে সঠিক সিদ্ধান্ত নিন
অর্থ সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে অনেকেই দ্বিধায় পড়েন মাসিক কিস্তিতে ডিপিএস করবেন নাকি
এককালীন বিনিয়োগে এফডিআর করবেন? দুটো পরিকল্পনাই নিরাপদ, কিন্তু আপনার প্রয়োজন,
সামর্থ্য আর লক্ষ্য অনুযায়ী পার্থক্য অনেক। চলুন জেনে নেই ডিপিএস vs এফডিআর
পার্থক্য, সুবিধা ও অসুবিধা গুলো জেনে নিই।
বাংলাদেশে সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে Deposit Pension Scheme (DPS) এবং Fixed Deposit
Receipt (FDR) দুইটি অন্যতম জনপ্রিয় ব্যাংকিং পণ্য। DPS-এ আপনি মাসিকভাবে ছোটো
ছোটো আমানত জমা করেন, আর FDR-এ এককালীন বড়ো টাকা নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য। আপনার
প্রয়োজন অনুযায়ী কোনটা ভালো, এ নিয়ে বিস্তারিত বিশ্লেষণ আমরা করবো।
পোস্টের সূচিপত্রঃ ডিপিএস vs এফডিআর পার্থক্য, সুবিধা ও অসুবিধা
DPS কী?
DPS
এর পূর্ণরূপ হলো Deposit Pension Scheme, বাংলায় যাকে বলা হয় "আমানত পেনশন
প্রকল্প"। এটি একটি সঞ্চয় প্রকল্প যা সাধারণত ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো
তাদের গ্রাহকদের জন্য অফার করে থাকে। DPS এর মূল উদ্দেশ্য হলো একটি নির্দিষ্ট
সময়কাল ধরে নিয়মিত অল্প অল্প করে টাকা জমা রেখে একটি বড় অঙ্কের সঞ্চয় গড়ে
তোলা। এটি মূলত অবসরকালীন জীবনের জন্য বা ভবিষ্যতের কোনো বড় খরচের (যেমন:
সন্তানের শিক্ষা, বিয়ে, বাড়ি কেনা ইত্যাদি) জন্য তহবিল গঠনের একটি জনপ্রিয়
উপায়।
DPS কিভাবে কাজ করে?
DPS এর প্রক্রিয়াটি খুবই সহজ। এটি একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য খোলা হয়, যা
সাধারণত ১ বছর থেকে ১০ বছর বা তারও বেশি হতে পারে। নিয়মিত মাসিক কিস্তি: গ্রাহক
একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ মাসিক কিস্তি হিসেবে তার DPS অ্যাকাউন্টে জমা দেন।
কিস্তির পরিমাণ সর্বনিম্ন ১০০ টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন অঙ্কের হতে পারে, যা
গ্রাহকের সামর্থ্য অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়।
- স্থির সুদ হারঃ DPS অ্যাকাউন্ট খোলার সময় ব্যাংক একটি নির্দিষ্ট সুদের হার নির্ধারণ করে দেয়, যা পুরো মেয়াদের জন্য সাধারণত স্থির থাকে। এই সুদের হার সাধারণত সাধারণ সেভিংস অ্যাকাউন্টের চেয়ে বেশি হয়।
- মেয়াদপূর্তিতে এককালীন টাকাঃ মেয়াদ শেষে, গ্রাহক তার জমা করা মূল টাকা এবং অর্জিত সুদসহ একটি বড় অঙ্কের টাকা ফেরত পান। এই টাকা এককালীন উত্তোলন করা যায়।
- নিয়মিত জমা রাখার সুবিধাঃ DPS এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এটি নিয়মিত সঞ্চয়ের একটি অভ্যাস তৈরি করে। মাসিক একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকায় গ্রাহক তার আয়ের একটি অংশ ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করতে উৎসাহিত হন।
DPS এর সুবিধা ও আসুবিধা
ডিপিএস (DPS) বা ডিপোজিট পেনশন স্কিম (Deposit Pension Scheme) হলো এমন একটি
সঞ্চয় প্রকল্প, যেখানে একজন গ্রাহক একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য প্রতি মাসে
একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা রাখেন। এর প্রধান সুবিধা এবং অসুবিধাগুলো নিচে
দেওয়া হলোঃ
ডিপিএস-এর সুবিধা (Advantages of DPS)
নিয়মিত সঞ্চয়ের অভ্যাসঃ ডিপিএস আপনাকে প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা
জমা রাখতে উৎসাহিত করে, যা ছোট ছোট সঞ্চয় দিয়ে বড় তহবিল গড়ার একটি চমৎকার উপায়।
এটি নিয়মিত সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তোলে।
- ঝুঁকিমুক্ত বিনিয়োগঃ শেয়ার বাজার বা অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগের চেয়ে ডিপিএস অনেক বেশি নিরাপদ। এখানে আপনার মূলধন হারানোর কোনো ঝুঁকি নেই।
- নিশ্চিত ও ভালো রিটার্নঃ ডিপিএস-এ সাধারণত একটি নির্দিষ্ট হারে সুদ দেওয়া হয়, যা মেয়াদের শেষে নিশ্চিতভাবে পাওয়া যায়। অন্যান্য সঞ্চয় স্কিমের তুলনায় এর সুদের হার সাধারণত বেশি হয়।
- স্বল্প পরিমাণ থেকে শুরুঃ ডিপিএস-এর কিস্তি খুব অল্প টাকা দিয়ে শুরু করা যায় (যেমন: ৫০০ বা ১,০০০ টাকা), যা সাধারণ মানুষের জন্যও সঞ্চয় করা সহজ করে তোলে।
- ঋণের সুবিধাঃ অনেক ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ডিপিএস-এর জমা টাকার বিপরীতে ঋণ সুবিধা দিয়ে থাকে। জরুরি প্রয়োজনে আপনি আপনার জমা টাকার ৯০% পর্যন্ত ঋণ নিতে পারেন।
ডিপিএস-এর অসুবিধা (Disadvantages of DPS)
- মুদ্রাস্ফীতির ঝুঁকিঃ ডিপিএস-এর সুদের হার সাধারণত স্থির থাকে। যদি মুদ্রাস্ফীতির হার সুদের হারের চেয়ে বেশি হয়, তাহলে সময়ের সাথে আপনার জমানো টাকার ক্রয়ক্ষমতা কমে যেতে পারে। অর্থাৎ, আপনার আসল লাভ হয়তো প্রত্যাশার চেয়ে কম হবে।
- অর্থ উত্তোলনে সীমাবদ্ধতাঃ মেয়াদ পূরণের আগে ডিপিএস থেকে টাকা তুললে জরিমানা দিতে হয় এবং কম হারে সুদ পাওয়া যায়। কিছু ক্ষেত্রে, আপনি লাভ ছাড়াই শুধু আসল টাকা ফেরত পেতে পারেন।
- কম নমনীয়তাঃ ডিপিএস-এর কিস্তি নিয়মিতভাবে জমা দিতে হয়। যদি কোনো মাসে কিস্তি জমা দিতে ব্যর্থ হন, তাহলে জরিমানা দিতে হয়। অনেক সময় একাধিক কিস্তি বকেয়া থাকলে ডিপিএস অ্যাকাউন্ট বন্ধও হয়ে যেতে পারে।
- তুলনামূলক কম লাভঃ যদি আপনি ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত থাকেন, তাহলে শেয়ার বাজার বা মিউচুয়াল ফান্ডের মতো বিনিয়োগ থেকে ডিপিএস-এর চেয়ে অনেক বেশি লাভ করা সম্ভব। ডিপিএস নিরাপদ হলেও লাভের পরিমাণ সাধারণত সীমিত।
- সংক্ষেপে, যারা ঝুঁকি না নিয়ে নিয়মিত সঞ্চয় করতে চান এবং একটি নিশ্চিত রিটার্ন চান, তাদের জন্য ডিপিএস একটি দারুণ বিকল্প। তবে যারা উচ্চ লাভ পেতে চান এবং কিছুটা ঝুঁকি নিতে পারেন, তাদের জন্য এটি সেরা পছন্দ নাও হতে পারে।
DPS কেন গুরুত্বপূর্ণ?
- ভবিষ্যতের নিরাপত্তাঃ DPS অবসর জীবনের জন্য একটি আর্থিক নিরাপত্তা বলয় তৈরি করতে সাহায্য করে।
- বড় অঙ্কের তহবিল গঠনঃ দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয়ের মাধ্যমে এটি ভবিষ্যতে বড় কোনো লক্ষ্য পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল গঠনে সহায়তা করে।
- ভালো সুদঃ সেভিংস অ্যাকাউন্টের তুলনায় DPS এ সাধারণত ভালো সুদ পাওয়া যায়।
- আর্থিক শৃঙ্খলাঃ এটি মাসিক সঞ্চয়ের মাধ্যমে আর্থিক শৃঙ্খলা এবং ভালো ব্যয় ব্যবস্থাপনার অভ্যাস গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
- সংক্ষেপে, DPS হলো একটি পরিকল্পিত সঞ্চয় প্রকল্প যা আপনাকে নিয়মিত অল্প অল্প করে টাকা জমা রেখে ভবিষ্যতে একটি বড় অঙ্কের তহবিল গড়ে তোলার সুযোগ দেয়। এটি আর্থিক লক্ষ্য পূরণের একটি অত্যন্ত কার্যকরী এবং নিরাপদ উপায়।
FDR কী? (Fixed Deposit Receipt)
FDR-এর পূর্ণরূপ হলো Fixed Deposit Receipt, বাংলায় যাকে "স্থায়ী আমানত রসিদ"
বলা হয়। এটি একটি জনপ্রিয় এবং নিরাপদ বিনিয়োগ মাধ্যম যা ব্যাংক বা আর্থিক
প্রতিষ্ঠানগুলো সরবরাহ করে। FDR মূলত সেইসব মানুষের জন্য উপযোগী যাদের কাছে
এককালীন একটি বড় অঙ্কের টাকা আছে এবং তারা সেই টাকা একটি নির্দিষ্ট সময়ের
জন্য বিনিয়োগ করে নিশ্চিত এবং উচ্চ সুদ পেতে চান।
FDR কিভাবে কাজ করে?
FDR এর প্রক্রিয়াটি DPS থেকে কিছুটা আলাদা। এখানে কিস্তির পরিবর্তে একবারে
একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা দেওয়া হয়।
- এককালীন জমাঃ গ্রাহক একবারে একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা (যেমন: ১ লক্ষ, ৫ লক্ষ বা আরও বেশি) একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য ব্যাংকে জমা রাখেন।
- নির্দিষ্ট মেয়াদঃ FDR-এর মেয়াদ কয়েক দিন থেকে শুরু করে কয়েক বছর পর্যন্ত হতে পারে। সাধারণত, মেয়াদ যত বেশি হয়, সুদের হারও তত বেশি হয়।
- স্থির সুদ হারঃ FDR খোলার সময়ই ব্যাংক একটি নির্দিষ্ট সুদের হার নির্ধারণ করে দেয়, যা পুরো মেয়াদের জন্য অপরিবর্তিত থাকে। এটি বিনিয়োগকারীকে নিশ্চিত করে যে তারা মেয়াদ শেষে কত টাকা ফেরত পাবেন।
- মেয়াদপর্তিতে টাকা ফেরতঃ মেয়াদ শেষে, গ্রাহক তার জমা করা মূল টাকা এবং অর্জিত সুদসহ পুরো টাকা এককালীন ফেরত পান। অনেক সময় গ্রাহক চাইলে মেয়াদ শেষে FDR-টি আবার নতুন করে নবায়ন (renewal) করতে পারেন।
FDR এর সুবিধা ও আসুবিধা
এফডিআর (FDR) বা ফিক্সড ডিপোজিট রিসিট (Fixed Deposit Receipt) হলো এমন একটি
সঞ্চয় ব্যবস্থা, যেখানে গ্রাহক একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এককালীন একটি বড়
অঙ্কের টাকা জমা রাখেন এবং মেয়াদ শেষে সুদসহ সেই টাকা ফেরত পান। নিচে এর
সুবিধা ও অসুবিধাগুলো তুলে ধরা হলো:
এফডিআর-এর সুবিধা (Advantages of FDR)
নিরাপদ বিনিয়োগঃ এফডিআর সবচেয়ে নিরাপদ বিনিয়োগগুলোর মধ্যে একটি। এখানে
আপনার মূল টাকা হারানোর কোনো ঝুঁকি থাকে না, কারণ এটি ব্যাংকের মতো
নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠানে জমা থাকে।
- নিশ্চিত ও উচ্চতর সুদঃ এফডিআর-এর সুদের হার সাধারণত সেভিংস অ্যাকাউন্টের চেয়ে বেশি হয়। বিনিয়োগের শুরুতেই সুদের হার নির্ধারিত থাকে, তাই মেয়াদ শেষে কত টাকা পাবেন তা আগে থেকেই জানা যায়।
- নিয়মিত আয়ের উৎসঃ কিছু কিছু এফডিআর স্কিম (নন-কিউমুলেটিভ) থেকে মাসিক বা ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে সুদ তুলে নেওয়া যায়, যা নিয়মিত আয়ের একটি উৎস হিসেবে কাজ করতে পারে।
- সহজ বিনিয়োগ প্রক্রিয়াঃ এফডিআর খোলা খুব সহজ। যেকোনো ব্যাংকে গিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিলেই এই অ্যাকাউন্ট খোলা যায়।
- ঋণ সুবিধাঃ জরুরি প্রয়োজনে অনেক ব্যাংক এফডিআর-এর বিপরীতে ঋণের সুবিধা দিয়ে থাকে। সাধারণত, জমা টাকার ৯০% পর্যন্ত ঋণ নেওয়া যায়।
এফডিআর-এর অসুবিধা (Disadvantages of FDR)
- মুদ্রাস্ফীতির ঝুঁকিঃ এফডিআর-এর একটি বড় অসুবিধা হলো এর স্থির সুদের হার। যদি মুদ্রাস্ফীতির হার সুদের হারের চেয়ে বেশি হয়, তাহলে আপনার জমানো টাকার প্রকৃত ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পায়।
- নির্দিষ্ট মেয়াদের আগে টাকা উত্তোলনের সীমাবদ্ধতাঃ এফডিআর একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য করা হয়। যদি কোনো কারণে মেয়াদ পূরণের আগে টাকা তুলতে হয়, তাহলে ব্যাংক একটি জরিমানা কেটে নেয় এবং পুরো সুদও দেয় না। কিছু ক্ষেত্রে, খুব কম বা কোনো সুদই দেওয়া হয় না।
- উচ্চতর মুনাফার সুযোগ থেকে বঞ্চিতঃ যেহেতু এফডিআর একটি নিরাপদ বিনিয়োগ, তাই এতে ঝুঁকির পরিমাণ কম। ফলস্বরূপ, শেয়ার বাজার বা মিউচুয়াল ফান্ডের মতো ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগের তুলনায় এর থেকে প্রাপ্ত মুনাফা সাধারণত কম হয়।
- এককালীন বড় অঙ্কের প্রয়োজনঃ ডিপিএস-এর মতো প্রতি মাসে অল্প অল্প করে টাকা জমানোর সুযোগ এফডিআর-এ নেই। এখানে একবারে একটি বড় অঙ্কের টাকা জমা দিতে হয়, যা সবার জন্য সম্ভব হয় না।
- সংক্ষেপে, যারা ঝুঁকিহীন এবং নিশ্চিত আয়ের সন্ধানে আছেন, তাদের জন্য এফডিআর একটি excelente বিকল্প। তবে, যদি কেউ উচ্চতর মুনাফা এবং বিনিয়োগের নমনীয়তা চান, তাহলে অন্যান্য বিকল্প বিবেচনা করা উচিত।
ডিপিএস vs এফডিআর পার্থক্য
ডিপিএস (DPS) হলো মাসিক কিস্তিতে সঞ্চয়ের ব্যবস্থা, যেখানে ধাপে ধাপে ছোট
অংক জমিয়ে মেয়াদ শেষে মূলধন ও মুনাফা পাওয়া যায়। অন্যদিকে এফডিআর (FDR) হলো
এককালীন বড় অংকের সঞ্চয়, যেখানে নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে মূলধনের সাথে
তুলনামূলক বেশি সুদ পাওয়া যায়। সহজভাবে DPS = মাসিক ছোট অংকের সঞ্চয়, আর
FDR = এককালীন বড় অংকের সঞ্চয়।
উপসংহারঃ ডিপিএস বনাম এফডিআর
ডিপিএস vs এফডিআর পার্থক্য, সুবিধা ও অসুবিধা গুলো জানলাম আশাকরি এখন আমরা
DSP/FDR বুঝতে পারছি।ডিপিএস (Deposit Pension Scheme) এবং এফডিআর (Fixed
Deposit Receipt) – দুটোই জনপ্রিয় সঞ্চয় পরিকল্পনা, তবে ব্যবহারকারীর
প্রয়োজন ও সামর্থ্যের উপর নির্ভর করে এর সুবিধা ভিন্ন হয়। যারা মাসিক ছোট
অংক জমিয়ে দীর্ঘমেয়াদে সঞ্চয় করতে চান, তাদের জন্য ডিপিএস আদর্শ।
অন্যদিকে যাদের হাতে আগে থেকেই বড় অংকের টাকা রয়েছে এবং সেটাকে নিরাপদে
রেখে বেশি সুদ পেতে চান, তাদের জন্য এফডিআর সবচেয়ে উপযুক্ত। সঠিক
সিদ্ধান্ত নিতে হলে আপনার আর্থিক লক্ষ্য, আয় এবং সময়সীমা বিবেচনা করে
সঞ্চয়ের মাধ্যম বেছে নেওয়া উচিত।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url