ধূমপান ছাড়ার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া - কোন সিগারেট বেশি ক্ষতিকর

আমাদের নৈতিকবোধ জাগ্রত হলে আমরা সঠিক পথে ফিরি তাই কেউ যদি হঠাৎ ধূমপান ত্যাগ করে তাহলে ধূমপান ছাড়ার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কি দেখা পারে সেসব জানবো আজ।
ধূমপান ছাড়ার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
যদি হঠাৎ কোনো ধূমপানী ধূমপান সেবন বন্ধ করে তাহলে ধূমপান ছাড়ার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ঘটবে শারীরিক এবং মানসিকভাবে। তাই আর কথা না বাড়িয়ে চলুন আমরা জেনে নিই যে ধূমপান ছাড়ার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কিরুপ প্রভাব ফেলতে পারে । 

পোস্টের সূচিপত্রঃ ধূমপান ছাড়ার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া - কোন সিগারেট বেশি ক্ষতিকর

ধূমপান ছাড়ার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া 

ধর্মীয় মতে ধূমপান একবারে নিষেধ রয়েছে। ধূমপানকে বিষপান বলা হয়ে থাকে। তথাপি আমরা চারিদিকে তাকালে ধূমপানী অনেক ব্যাক্তিকে দেখা যায়।ধূমপান কেউ করতে না চাইলেও আবেগ, অধিক কৌতুহলপ্রবন হলে প্রথম দিকে একটি ব্যাক্তি অল্প পরিসরে সেবন করতে দেখা যায়। প্রথমে তারা খারাপ সঙ্গের প্রভাবে প্রভাবিত হলে ধূমপান শুরু করে কথায় তাই একটি প্রবাদ রয়েছে যে

সৎসঙ্গে স্বর্গবাস আর অসৎসঙ্গে সর্বনাশ। ধূমপান ছাড়ার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া  আমরা অনেক সময় জীবনকে বুঝতে গুলিয়ে ফেলি এর ফলে কোনটা ভালো আর কোনটা খারাপ এর তফাৎ বুঝতে অনেক দেরি করে ফেলি এর ফলে ধিরে ধিরে খারাপের দিকেই ধাবিত হয় আর একটা অবস্থায় এসে পৌঁছায় ততো ক্ষণে দেখি জীবন থেকে অনেক কিছুই হারিয়ে গেছে জীবন হয়ে গেছে বিষাক্তময় আমরা হয়ে গেছি হতাশা গ্রস্ত।

জীবনের সঠিক দিশা হারিয়েছি এসব কিছু কারণেই একজন সুস্থ মানুষ দিনে দিনে নিজেকে অসুস্থ করে তুলছে। এসব হতাশা কাটিয়ে উঠার জন্যও তারা ধূমপানকে সাথি করে নিয়েছে। আর আমরা সকলে জানি যে ধূমপানে শরীরের রক্তে নিকোটিন এর পরিমান দিন দিন বারিয়ে দেয়।

এর ফলে একজন ধূমপানী চাইলেও আর ধূমপানকে না বলতে পাড়ে না রক্তের নিকোটিন এর চাহিদা পূরণে দিন দিন ধূপমান সেবন করেই চলেছে। যখন মানুষের মনে নৈতিকবোধ জাগ্রত হয় তারা পুনোরায় সঠিক পথে ফিরতে চাই 

সেই ক্ষনে ধূমপান ছাড়ার উপায় খুঁজতে থাকে। তবে কেউ যদি হঠাৎ করে ধূপমান বন্ধ করে দেয় এর ফলে শারীরিক অনেক লক্ষণ দেখা দিতে পাড়ে তবে ভয়ের কিছু নেই। তাই আজ আনরা জানবো হঠাৎ করে ধূপমান ছাড়ার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কি দেখা দিতে পাড়ে 

  • প্রথম ধূমপান ছাড়ার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এক সপ্তাহ কোনো কাজে আপনের মন স্থির করতে পারবেন না। এবং অস্থিরতা কাজ করতে পারে।
  • প্রথম সপ্তাহে ধূপপান বাদ এর ফলে আপনে এটার জন্য অল্প পরিসরে মানসিকভাবে ডিপ্রেশনে যেতে পারেন। 
  • ধূমপান ছাড়ার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া  শরীরের ওজন বাড়াতে এবং কমতে পারে
  • বাসায় বা রুমে দম বন্ধ লাগতে পাড়ে সেক্ষেত্রে আপনের বাহিরে একটু প্রকৃতি সাথে একটু সময় কাটিয়ে নিন।
  • খাবারে রুচির পরিবর্তন ঘটতে পারে। 
  • প্রথম দিকে একটু শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়বেন। তবে ১৪ দিন পর আবার সুস্থতা অনুভব করবেন।
  • মানসিকভাবে একটু দুর্বল হয়ে পরবেন, অর্থ্যাৎ সঠিক সিদ্ধান্তহীতায় ভুগতে পাড়েন। 
  • শরীরের অনেক সময় রেস দেখা দিতে পারে এবং পুনরায় ধূমপান করতে মন চায়বে।কিন্তু ভুলেও সেটি করতে যাবেন না।মনকে শক্ত রাখবেন।
  • প্রথম সপ্তাহে কারে সাথে সুস্থ আচারণ করতে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। 
  • নিজেকে বড্ড একা ফিল হতে পাড়ে তাবে ধূমপান ছাড়ার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া  লক্ষণ গুলো কেবল সবোর্চ্চ তিন সপ্তাহের অধিক হয় না। 
  • ২১ দিন পর আবার সেই সুস্থ অবস্থায় জীবন যাপন করতে পরবে।

কোন সিগারেট বেশি ক্ষতিকর

আমরা জানি যে সব সিগারেট মানেই ক্ষতিকর। হ্যাঁ এটা সত্য যে সিগারেট মনেই শরীরের জন্য কোন সিগারেট বেশি ক্ষতিকর কিন্ত কোনো কোনো সিগারেট এ তুলনামূলক ভাবে ক্ষতির পরিমানে একটু ভিন্নতা রয়েছে। প্রথমে আমাদের জানতে হবে যে কোন কোন সিগারেট এর উপাদনে কি কি রয়েছে তাহলেই আমরা জানতে পারবো সেই সিগারেটের ক্ষতির পরিমানটা।

 আমরা জেনে নিই যে সিগারেটের মূল উপাদনে রয়েছে তামাক পাতা,এর সাথে কিছু বিভিন্ন স্বাধের ফ্লেবার।এসব কেন ক্ষতি করে মনে প্রশ্ন থাকতেই পাড়ে । তাই আমরা জেনে নিই কোন সিগারেট বেশি ক্ষতিকরকেনো স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতি কর।

আরো পড়ুনঃ একাদশীতে কি কি মসলা খাওয়া যায় - একাদশীতে কি কি বর্জনীয়

কেউ যখন সিগারেট  সেবন করে তখন সেই সিগারেটের উপাদান গুলো আমাদের শরীরের রক্তের নিকোটিন এর পরিমান বাড়িয়ে দেয় দিন দিন এটি বাড়তেই থাকে ফলে এর চাহিদা পূরণে ধূমপানীরা সিগারেট সেবন করতেই থাকে। 

ফলে রক্ত নিকোটিন এর পরিমান বড় অংকে বৃদ্ধির প্রভাবে শরীরের মূল মূল অঙ্গ গুলোর ক্ষতিসাধন হতে থাকে এর ফলে দেখে দেয়, ফুসফুস ক্যান্সারে, হার্ট অট্যাক,উচ্চ রক্তচাপ,লিভার ক্যান্সার,কিডনি ডেমেজ,শাসকষ্ট প্রভৃতি। তাই যেসব সিগারেট এ উপরোক্ত বা নিকোটিন এর পরিমান বেশি থাকে সেসব সিগারেট বেশি ক্ষতিকর। 

সিগারেটের উপকারিতা ও অপকারিতা

সিগারেট মানেই ক্ষতিকর এর কোনো উপকার নেই কিন্তু তক্ষনাৎ সেই সময়ে আমাদের শরীরের যেই হরমোনটির প্রভাবে আনন্দ ফিল করি সিগারেটর ফলে তক্ষুনি সেই ডোপামিন নামক হরমোনটি  নিঃসরণ ঘটায় পাড়ে ফলে আমরা অল্প পরিসরে মানসিকভবে অনন্দ ফিল করায় কিছুটা চিন্তা দূর করতে সহায়তা মাত্র।

সিগারেটে কেবল উপকারিতা এতটুকু মাত্র এর তুলনায় অধিক অপকারিতাই বেশি। তাই সিগারেটকে সকলে আমরা না বলতে শিখি।তাই এখন আমরা জানবো সিগারেটের  অপকারিতা সম্পর্কে সিগারেটের শরীরের মূল মূল অঙ্গ গুলোর ক্ষতিসাধন হতে থাকে ধূমপান ছাড়ার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অল্প পরিসরে মানসিকভাবে ডিপ্রেশনে যেতে পারেন। 

সিগারেটের উপকারিতা ও অপকারিতা এর ফলে দেখে দেয়, ফুসফুস ক্যান্সারে, হার্ট অট্যাক,উচ্চ রক্তচাপ,লিভার ক্যান্সার,কিডনি ডেমেজ,শাসকষ্ট, ঠোঁট এবং গালায় ক্যান্সার, খাবারে অরুচি, দিন দিন স্মৃতি শক্তি কমে যাবে,দিন দিন শারীরিক ভাবে ওজোন কমবে পারে,আপনের আর্থিকভাবে ক্ষতি গ্রস্ত হবেন,নেতিক মূল্যবোধ লোপ পাবে ফলে দিনে দিনে ধর্মীয় দিক থেকে দূরে যাবে এবং এর ফলে সকলে ভালেবাসা হারাবেন,প্রিয়জন এবং কাছের মানুষের অবহলা লাভ করবেন, আপনের ব্যাক্তিত্ব হারাবেন এছাড়াও আরো অসংখ্য সিগারেটের অপকারিতা রয়েছে। 

আরো পড়ুনঃ ঘুম না আসার কারণ ও প্রতিকার 

সকলে আমরা সিগারেটকে না বলি এবং আমরা আমাদের সৃষ্টিকর্তার কাছে নিজেকে সমর্পন করি। সুস্থ এবং সুন্দর ভাবে জীবনকে উপভোগ করি। নিজের মনের ভিতর নৈতিক মূল্যবোধ জাগিয়ে তুলি এবং অসৎ তথা ধর্মীয় দৃষ্টিকোণে নিষিদ্ধ এমন কোনো কাজ থেকে বিরত থাকি।নিজের মনের মধ্যে ধর্মকে ধারন করি তাহলেই জীবন হবে সহজ এবং সুখময়। 

সিগারেট খাওয়ার ক্ষতিকর দিক

ধূমপানকে বিষপান বলা হয়ে থাকে । সিগারেটের মূল উপাদনে রয়েছে তামাক পাতা,এর সাথে কিছু বিভিন্ন স্বাধের ফ্লেবার।এসব কেন ক্ষতি করে মনে প্রশ্ন থাকতেই পাড়ে । তাই আমরা জেনে নিই সিগারেট কেনো স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতি কর। কেউ যখন সিগারেট  সেবন করে তখন সেই সিগারেটের উপাদান গুলো আমাদের শরীরের রক্তের নিকোটিন এর পরিমান বাড়িয়ে দেয় দিন দিন এটি বাড়তেই থাকে ফলে এর চাহিদা পূরণে ধূমপানীরা সিগারেট সেবন করতেই থাকে। 

ফলে রক্ত নিকোটিন এর পরিমান বড় অংকে বৃদ্ধির প্রভাবে শরীরের মূল মূল অঙ্গ গুলোর ক্ষতিসাধন হতে থাকে এর ফলে দেখে দেয়, ফুসফুস ক্যান্সারে, হার্ট অট্যাক,উচ্চ রক্তচাপ,লিভার ক্যান্সার,কিডনি ,ঠোঁট এবং গালায় ক্যান্সার, খাবারে অরুচি, দিন দিন স্মৃতি শক্তি কমে যাবে,দিন দিন শারীরিক ভাবে ওজোন কমবে পারে,আপনের আর্থিকভাবে ক্ষতি গ্রস্ত হবেন,নেতিক মূল্যবোধ লোপ পাবে ফলে

দিনে দিনে ধর্মীয় দিক থেকে দূরে যাবে এবং এর ফলে সকলে ভালেবাসা হারাবেন,প্রিয়জন এবং কাছের মানুষের অবহলা লাভ করবেন, আপনের ব্যাক্তিত্ব হারাবেন এছাড়াও আরো অসংখ্য সিগারেটের অপকারিতা । 

উপসংহার

পরিশেষে সকলে আমরা সিগারেটকে না বলি এবং আমরা আমাদের সৃষ্টিকর্তার কাছে নিজেকে সমর্পন করি। সুস্থ এবং সুন্দর ভাবে জীবনকে উপভোগ করি। নিজের মনের ভিতর নৈতিক মূল্যবোধ জাগিয়ে তুলি এবং অসৎ তথা ধর্মীয় দৃষ্টিকোণে নিষিদ্ধ এমন কোনো কাজ থেকে বিরত থাকি।নিজের মনের মধ্যে ধর্মকে ধারন করি তাহলেই জীবন হবে সহজ এবং সুখময়। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
AB AKASH
AB AKASH
AB AKASH is a skilled Digital Marketing and Content Writing Expert specializing in driving organic growth through Blog SEO and strategic content creation. With a proven ability to translate complex ideas into compelling, high-ranking web content, AB AKASH helps businesses significantly boost their online visibility and engagement. Currently completing his Honours 4th Year in the Department of English at Rajshahi New Government Degree College.thank you.